বটিয়াঘাটায় বিনা চাষে সরিষার ব্যাপক ফলন দেখে কৃষকের সুখের হাসি

প্রকাশঃ ২০১৯-০১-২৬ - ১৮:৩৪

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) বটিয়াঘাটা : কৃষিতে সাফলতায় খ্যাত বটিয়াঘাটা উপজেলা। এই উপজেলার ফসলি জমিতে দির্ঘ দিন ধরে ১ টি ফসল উৎপাদন হতো কিন্ত আ,লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর বিভিন্ন ধরনের গভেষনায় ঐ সকল ফসলি জমতি ২ টি ফসল উৎপাদন শুরু হয়  কিন্ত ডিজিটাল যুগে সেই সকল জমিতে এখন ৩ টি ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছে যার ঢেউ লেগেছে বটিয়াঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভেন্না বুনিয়া গ্রামে। চাষ বিহিন জমিতে শুরু হয়েছে বারি ১৪ জাতের সরিষার চাষ। জমিতে প্রখম বারের মতো প্রচুর সরিষার ফলনের ক্ষেত দেখে চাষিদের মুখের হাসি যেন থামচেইনা। বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের ভেন্নাবুনিয়া গ্রামের চাষি সমিরন, প্রসেন ও কুঞ্চপদ জদ্দার বলেন, আমাতের এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপন কুমার হালদারের পরামর্শে আমরা পরিক্ষা মূলক ভাবে ৬ বিঘা জমিতে বিনা চাষে অর্থাৎ ধান ক্ষেতে থাকা অবস্হায় জমিতে সরিষার বীজ ছড়িয়ে দেই। কিছু দিনের মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসি কিন্ত এখন ক্ষেতে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আশা করছি বিনা চাষে সরিষা বিঘা প্রতি ১২৫/১৩৫ কেজি উৎপাদন হবে যার বাজার মুল্য হবে ৬০০০ /৬৫০০ টাকা। তারা আরও জানান সরিষা উত্তোলনের পরে ঐ সকল জমিতে অন্যান্য বছরের মতো সব্জি, ঢেড়শ, তিল, ডাল বা তরমুজ লাগানো  যাবে। তাই চমৎকার ভাবেই জমিতে ৩ টা ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। আসাদের সরিষার ক্ষেত দেখতে এমনি সরিষার ক্ষেতে দাড়িয়ে প্রতিদিন ছেলে মেয়েরা এমনি বিভিন্ন কৃষকের দাড়িয়ে দেখছে এমনি সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে। আশা করি আগামিতে শত শত কৃষক বারি ১৪ জাতের সরিষার চাষে আগ্রহি হবেন। সার্বিক বিষয় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব। তাই কৃষকের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন তৈরি হচ্ছে। আগে জমিতে একটি মাত্র ফসল উৎপাদন হতো আমরা এখন চেষ্টা করছি ঐ সকল জমিতে কিভাবে ৩ টি ফসল লাগানো যায়। ইতি মথ্যে টেষ্ট স্বরুপ বিনা চাষে সরিষার চাষ শুরু হয়েছে। আশা করি কৃষক লাভবান হবে এবং আগামিতে এর ব্যাপক চাষ হবে। উল্লখ্য সম্প্রতি, বটিয়াঘাটা কৃষি দপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আঃ মান্নান বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কারে ভুষিত হন এবং ইঁদুর নিধনে বিশেষ কৃতিত্ব রাখায় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপন কুমার হালদার জেলা পর্যায় পুরস্কার পান।