বাগেরহাট : বাগেরহাটে আব্দুল খালেক শেখ (৫৯) নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্দ্বীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। আদালত একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ জাকারিয়া হোসেন আসামী জাহিদ শেখের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল খালেক শেখ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মলিকেরবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের মৃতঃ আহম্মদ আলী শেখের ছেলে। আর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জাহিদ শেখ (৩৮) একই গ্রামের মোকাম্মেল শেখের ছেলে। জাহিদ নিহত আব্দুল খালেক শেখের সম্পর্কে সৎ নাতি। (আসামী সৎ ছেলের ছেলে।) মামলার নথির বরাত দিয়ে বাগেরহাট জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী অ্যাডঃ সীতা রাণী দেবনাথ জানান, রামপাল উপজেলার দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের আব্দুল খালেক শেখ শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ছিলেন। প্রতিবন্দ্বী হওয়ায় সরকারীভাবে তিনি প্রতিমাসে ভাতা পেতেন। এই ভাতার টাকা তার সৎ নাতি জাহিদ শেখকে প্রায়ই দিতে হতো। এই ভাতার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায়ই জাহিদ তাকে মারধর করত এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিত। ভাতার টাকা না পেয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ ক্ষুব্দ হয়ে ২০১৪ সালে ৩১ মে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে বসে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল খালেককে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে মোঃ আলী আকবর শেখ বাদী হয়ে জাহিদ শেখকে আসামী করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর তিনদিন পর পুলিশ ঢাকা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে জাহিদ তার দাদাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। রামপাল থানার তৎকালীন এসআই মোঃ ইমারত আলী মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ওই বছরের ২০ আগষ্ট জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহষ্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।