রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : ৫ লাখ টাকার মুক্তিপনের দাবিতে অপহৃত সাতক্ষীরার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। এসময় অপহরণের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপহৃত শাহজাহান সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার গানধুলিয়া গ্রামের মৃত. আমিন মহাজনের ছেলে। আর আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের গৌতম বসুর স্ত্রী গৌরী বসু, যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতি এলাকার আজগর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩), চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান (২২), চাঁচড়া মধ্যপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে মিলন হোসেন (২৩), চাঁচড়া মাঠপাড়ার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে হাফিজুর রহমান।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সৈয়দ বায়েজিদ জানিয়েছেন, কালিগঞ্জ থেকে বাসযোগে শাহজাহান মহাজন তার এক আত্মীয়র বাড়িতে বাড়ানোর জন্য চাঁচড়া চেকপোস্টে নামেন সোমবার সকাল ৭টার দিকে। চাঁচড়া চেকপোস্টে এক নারীর সাথে তার পরিচয় হয়। তিনি ওই নারীর কথায় বিশ্বাস করে তার সাথে পুলেরহাট বাজারে যান। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুইজন শাহজাহানকে আসামিরা নিয়ে যায়। তাদের সাথে আরো একটি মোটরসাইকেলে দুইজন ছিল। তারা বিভিন্ন স্থানে শাহজাহানকে ঘুরিয়ে হাফিজুরের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পরে শাহজাহানের কাছ থেকে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে তাকে ফোন দেয় এবং মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে পরে এক লাখ এবং আরো পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। শাহজাহার পরে বুঝতে পারে যে নারীর সাথে তার পরিচয় হয় এবং পুলেরহাট বাজারে নিয়ে যায় সে নারী ওই দুর্বৃত্ত চক্রের সদস্য।
এসআই সৈয়দ বায়েজিদ আরো জানিয়েছেন, শাহজাহানের ভাই বিষয়টি কালিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। পরে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যম দিয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে শাহজাহানকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। বিকেলের দিকে চাঁচড়া চেকপোস্টের পাশের (পালবাড়ির দিকে যেতে) একটি গলির মধ্যে আসামি হাফিজুরের দোতলা বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় শাহজাহানকে উদ্ধার করা হয়। আসামিরা শাহজাহানকে মুক্তিপণের দাবিতে মারপিট করে। পরে আসামিদেরকেও আটক করা হয়। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
তবে আটক গৌরী জানিয়েছেন, আসামি রবিউল, হাফিজুর, আনিসুর এবং মিলনের কথা মতো তিনি শাহজাহানের সাথে কথা বলেন এবং তাকে পুলেরহাট বাজার পর্যন্ত নেন। তাকে অর্থের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।