রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোরের সতীঘাটা এলাকায় স্থানীয় শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি জোরপূর্বক ভাবে গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সতিঘাটা কামালপুর গ্রামে ওসমান গাজী (৬০) পৈত্রিক সূত্রে ৫২ শতক জমির উপরে কয়েকযুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। পার্শ্ববর্তী আবু সাঈদ পাটোয়ারী (৭০) ওসমান গাজীর চাচার কাছ থেকে আনুমানিক ৪০ বছর পূর্বে ২৬ শতক জমি ক্রয় করে তা ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি আবু সাঈদ পাটোয়ারী স্থানীয় সার্ভেয়ার আব্দুল হালিম কে নিয়ে তার ২৬ শতক জমির সীমান নির্ধারণ করেন। তখন তিনি দেখতে পান ওসমান গাজী সীমানার ভিতর ৭ ফুট জমি বেশি আছে। গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে কুয়াদার কাঠ ব্যবসায়ী কাজলের নিকট উল্লেখ্য ৭ ফুট সীমানার মধ্যে থাকা ৬ টি মেহগনী গাছ ১ টি তাল গাছ, ১টি জাম গাছ ও ২২ টি সুপারী গাছ সহ তার জমিতে থাকা আরও অন্যান্য গাছ বিক্রয় করে দেয়। কিন্তু ওসমান গাজী সহ তার পরিবারের লোকেরা এই ৭ ফুট জমির গাছ কাটার সময় বাঁধা দেয়। তখন সাঈদ পাটোয়ারী ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর রাশেদ হোসেনের নিকট বিচার দাবী করে। এক পর্যায়ে তিনি সতীঘাটা ক্যাডেট মাদরাসার রুমে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় স্থানীয় ভাবে একটি শালিশী বৈঠক বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামনগরের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়ার্ড মেম্বর রাশেদ হোসেন, সাবেক মেম্বর মশিয়ার রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নূরুন নবী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হোসেন, উভয় পক্ষসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তখন এই শালিশী বৈঠকে সম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, বিরোধীয় ৭ ফুট জমি যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত ওসমান গাজীর পরিবার ভোগ করে আসছিলেন। যেহেতু বিরোধী সম্পত্তিটি এখন সাঈদের মধ্যে পড়ে যায় তাই সেই জমি ছেড়ে দিতে হবে। তবে, সেখানে থাকা ৬টি মেহগনী গাছ, ১টি তাল গাছ, ১টি জাম গাছ, ২২টি সুপারী গাছ বিক্রি করে যে সমুদয় অর্থ দুই ভাগে ভাগ করে উভয় পক্ষকে সমান ভাবে দেয়া হবে। শালিসীসে উপস্থিত সকলেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বৈঠক শেষ করেন। এর মধ্যে সাঈদ পাটোয়ারির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ব মঙ্গলবার সকালে গাছ কাটা শুরু করেন। এসময় স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ এবং সেদিনের শালিসী উপস্থিত ব্যক্তিরা ওই গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সাঈদ পাটোয়ারির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন করে ৭ ফুট জমি পেয়েছি। সেই জমির গাছগুলো কাউকে দেয়া হবে না।