রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোর মাগুরা সড়কে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ে সন্ত্রাসীর পরিচয় মেলেনি। তবে, সন্ত্রাসী নিহত এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিরা হলো- যশোর সদর উপজেলার সানতলা গ্রামের মৃত.নওশের আলীর ছেলে টুটুল, শ্যামনগর গ্রামের মৃত. ফকির সরদারের ছেলে ইউনুস, কনেজপুর গ্রামের আব্দুল জলিল, ডাকাতিয়া গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে লিটন, সমসপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শিয়াবুদ্দিন, রহমতপুর গ্রামের ইসমাইল খাঁ’র ছেলে আলী আকবার ওরফে আংটা, তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত. করিম মোল্যার ছেলে ফিরোজ।
যশোর কোতয়ালি থানার এসআই বাবুন চন্দ্র বিশ্বাস দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেছেন, যশোর মাগুরা সড়কের নঙ্গরপুর গ্রামের মাজারের পাশে এজাহারভুক্ত আসামি এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকায় আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় হচ্ছে। বাসের হেলপার ও ড্রাইভারদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান ও এসআই বাবুন চন্দ্র বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির মাথায় ও বুকের বাম পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি, ধারালো অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, তিনটি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।