খুলনা অফিস : খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে সুন্দরবন।পর্যটন কেন্দ্র করমজল ঢাংমারী থেকে শুরু করে নলিয়ান কালাবগি হয়ে রাশমেলার আলোরকোল পর্যন্ত দাকোপের সুন্দরবন।সুন্দরবনে সুন্দরী,কাকড়া,পশুর থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের কাঠ কাটা সম্পূর্ন নিষেধ থাকলেও প্রতিবছর ২ ঈদে ব্যাপক হারে কাঠ পাচার ও হরিন নিধন চলে।তবে এবার ঈদের বেশ আগেভাগেই হরিন নিধনে মেতে উঠেছে দাকোপ,রামপাল,মোংলা,পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চোরাই চকরো।জানা গেছে,ইদের সময় বনকর্মকর্তা,কর্মচারীদের নিজেদে ঈদের বাড়তি খরচ ও বসদের খরচ দিয়ে খুশি রাখতে নিজেদের অনুগত পোষা কাঠ চোরদের দিয়ে কাঠ কেটে ও হরিণ শিকার করার সুযোগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।কাঠ চোর ও হরিন শিকারীদের এমন সুযোগ দেওয়ায় তারা সুযোগ বুঝে ঈদের আগে থেকে শুরু করে ইদের দিন থেকে ৪/৫ দিন একটানা দেদারছে কাঠ কেটে বন উৎাড় করে থাকে।এবার ইদকে সামনে রেখে চোরা পার্টিরা তাদের ফাঁদসহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত এমনকি অনেকে কাঠ পাচার ও গাছ কাটা বনের বিভিন্ন এলাকায় শুরু করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে,পানখালী গ্রামের নকিম,রামপালের তোরাব শেখ,গড়ইখালীর ইকতার বলেন আমরা সুন্দরবনের কাজ করি স্বচক্ষে এসব সবসময় দেখি,এমন সময় এমন সুযোগে এরা একাজ বেশি করে থাকে। এদেও কাছ থেকে আমরা অনেক সময় হরিনের গোসতও চেয়ে নিয়ে খাই,এরা ফাঁদ দিয়েই বেশি হরিন ধরে থাকে।