খুলনা : মহানগরীর হরিণটানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী (১২) কে উত্যক্তকারী বখাটে শুভকে তার পিতা-মাতাসহ গ্রেফতার করেছে লবণচরা থানা পুলিশ। শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ (২৫), তার বাবা শাহ আলম হাওলাদার (৫০), মা জাকিয়া বেগম (৪০)। এর আগে এ ঘটনার জড়িত আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবিরকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শনিবার রাতে খুলনা সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (দণি) মো: আব্দুল্লাহ আরেফ পিপিএম জানান, মোবাইল ফোনে অবস্থান সনাক্ত করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লবণচরা থানার ওসি মো: শফিকুল ইসলাম, তদন্ত ওসি আব্দুল মালেক, তদন্ত কর্মকর্তা ইউসুফ আলী হাওলাদার এর নেতৃত্বে ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস নোয়াকাটি এলাকার গ্রামের বাড়ি থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। রবিবার আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সদর জোনের সিনিয়র এসি এম এম মোহাইমেনুর রশিদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমান, ওসি তদন্ত সরদার মোশারেফ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর রাতে খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের দাবি, বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ ও তার সহযোগীদের উত্যক্তের শিকার হয়ে চাঁদনী আত্মহনন করে। নিহত চাঁদনী নগরীর লবণচরা থানার হরিণটানা গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় ১৪ অক্টোবর চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শামীম হাওলাদার শুভ, তার বাবা শাহ আলম হাওলাদার, মা জাকিয়া বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির ও হাসিবসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। ওই দিনই পুলিশ শুভ’র সহযোগী মাফিয়া কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 
					 
                             
                             
                             
                             
                            