কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১৪ - ১৮:৫৫

কক্সবাজার : শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা বাছাই করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো। শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ এদেশের প্রায় ১২০০ নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। হানাদার পাকিস্তানিদের পোড়া মাটি নীতির আলোকে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো। শহিদ বুদ্ধিজীবী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের অবদান, তাদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অবহিত করাতে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের আত্ম শান্তি পাবে।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে একাডেমীর অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগন আরো বলেন, পাকিস্তানি বাহিনি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো।
বক্তাগণ আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা গেলেই এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য পেশ করেন, একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান কবি সুলতান আহমদ, একাডেমীর অর্থ সম্পাদক কক্সবাজার পিটিআইর ইন্সট্রাকটর কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, এডভোকেট নূরুল হক।
পরে কবিতা পাঠ করেন কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন।