বিজ্ঞপ্তিঃ ইভটিজিং শিকার ও বাবাকে হেনস্তা ও মারধর কারায় খুলনা সরকারী করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী শামসুর নাহার চাঁদনী আত্মহত্যা করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ। নগরের পিটিআই মোড়ে এ প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক শাহীন আলম এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন “আজ চাঁদনী আত্মহত্যা করেছে, কিন্তু এটা কোন আত্মহত্যা নয় এটা একটি হত্যাকান্ড। তিনি আরও বলেন আমরা সমাজের বিবেকবান ব্যক্তিরা কখনো এই হত্যাকান্ডের দায় অস্বীকার করতে পারি না কারন আমরা তার অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে পারি নাই, তাকে দিতে পারি নাই একটি সুন্দর ইভটিজিং মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা, এ দায় আমার আপনার সকলের। তিনি সকলের নিকট আহবান জানিয়ে বলেন আসুন আমার প্রতিরোধ গড়ে তুলি ঐসব সন্ত্রাসী ইভটিজিংকারীদের বিরুদ্ধে। আমি পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই অপরাধী যেই হোক তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে তার সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন “ সামজিক অবক্ষয়ের কারনে আজ ইভটিজিং বেড়েছে, এই সামাজিক ব্যাধির সর্বশেষ স্বীকার মেধাবী ছাত্রী চাঁদনী। তিনি বলেন আমাদের পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে ইভটিজিং , সন্ত্রাস , মাদক ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে প্রত্যেক কে সচেতন হতে হবে তাহলে আমরাই সমাজের এই সব কুলাঙ্গাদের প্রতিরোধ করেতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন আপনারা জানেন বর্তমান সরকার ইভটিজিং , সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে, সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলের সচেতনা ও ঐক্য গড়ে তুলতে হবে তাহলে চাঁদনীর মত আর কাউকে অকালে জীবন দিতে হবে না। এই হত্যাকান্ডে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়ে বলেন অপরাধী যেই হোকে যে দলের হোক তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করুন তা না হলে আমরা সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।” প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব আলম সোহাগ, শ্রী বিরেন ঘোষ, উপ দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মোঃ শামিম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সালমা ইয়াসমিন। এছাড়া অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাদল সরদার, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আযম খান, এ্যাড কবরী, আমির হোসেন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, মোর্শেদ আহমেদ রিপন, মেখ শহীদ আলী, নয়মা বিশ্বাস সাথী, সাইদুল ইসলাম, রাশেদুজ্জামান রিপন, মাহাবুব হোসেন, ইকবাল কবির লিটন, মাসুম উর রশিদ, অলোক কুমার শীল, বাদল সিপাহী, ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, তাজমুল হক তাজু, রেজাউল করিম সবুজ, হিরক কুমার গাইন, জি এম সালাউদ্দীন, শেখ মোহাম্মদ, খ ম হেলারুজ্জামান, কামরুজ্জামান ইমরান, সোহান হোসেন শাওন, ফারহান অভি, আহনাফ অর্পন, মোঃ রাজু হোসেন, আজিম হোসেন জয়, জোয়েব সিদ্দিকী, মশিউর রহমান বাদশা, রুমান আহমেদ, আফজাল হোসেন ইমরান, এস এম সাইদুজ্জামান, আখিরুজ্জামান মুন্না, মেহেদী হাসান মান্না, জুবী ওয়ালিয়া টুই, শরফিুল ইসলাম বাবু, জাহিদুর রহমান জাহিদ, তায়েজুল ইসলাম তাজ, উজ্জ্বাল আহমেদ, রেজওয়ানুল ইসলাম, বখতিয়ার খলজি, চয়ন বালা, মইন আহমেদ, মিজানুর রহমান মিজান, সমির কৃষ্ণ, জাকারিয়া শেখ, রাহুল দেব রবি, শাহনেওয়াজ রাব্বি, হাফিজুর রহমান হাফিজ, শিকদার রাসেল, ইব্রাহীম বন্দ, মাসুম বিল্লাহ, সোহাগ গাজি, তরিকুল ইসলাম, লাবিব হাসান মিথুন, আবিদ আল হাসান, রাজিউন ইসলাম রাজু, শেখ আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মুরাদ হাওলাদার, ফাহিম হোসেন আকাশ, ইসতয়িাক আহমেদ, সোহান সাদিক, মাহমুদুল ইসলাম ইমন, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, মাসুদ হাসান, ইয়াসিন আরাফাত, মোঃ বেল্লাল শেখ, চয়ন চেীধুরি, মিরাজ হোসেন, জুয়েল শেখ প্রমুখ।