খুলনায় ছিনতাই মামলায় ৪ আসামীর বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড

প্রকাশঃ ২০২১-০৩-২৪ - ২০:৩৮

দেশ প্রতিবেদক :
খুলনায় ছিনতাই মামলায় ৪ আসামীর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ মার্চ) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি পলাতক ছিলেন। অপর ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, বাচ্চু হাওলাদার (পলাতক) গোলাম মোস্তাফা ও বেলাল হোসেন বেলা। আদালত পেনাল কোডের ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এদের প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্র্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। অপর আসামি জিকরুল ইসলামকে পেনাল কোডের ৪১২ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনার বড় বাজারের তেল ব্যবসায়ী গোপাল সাহা তেল বিক্রির নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা একটি ব্যাগে নিয়ে রিক্সাযোগে বাসায় যাচ্ছিলেন। রিক্সা শান্তিধাম পুলিশ ক্লাবের সামনে পৌছালে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি তার রিক্সার গতিরোধ করে। তাকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে বেবীট্যাক্সি যোগে ফেরীঘাটের দিকে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে ঔষুধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধি বেবীট্যাক্সির পিছুু নিলে ছিনতাইকারীরা খালিশপুর নুরনগর মসজিদ গলিতে ট্যাক্সিটি ফেলে পালিয়ে চলে যায়। পরে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনায় গোপাল সাহা অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে খুলনা সদর থানায় মামলা পরের দিন ২৬ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন যার নং ৩১। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১০ সালের ৬ মার্চ আদালতে ৯ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৯ জন স্বাক্ষী তাদের স্বাক্ষ্য দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি এ্যাড. বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও এপিপি এ্যাড. রেহেনা চৌধুরী। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এ্যাড. রজব আলী ও এ্যড. এ ইলিয়াছ খান।