খুলনায় নিয়ামুলকে পিটিয়ে হত্যার চারদিন অতিবাহিত : পলাতক ৯

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-০৪ - ২৩:৩৩

খুলনা : খুলনার রূপসা উপজেলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোঃ নিয়ামুল করিম (৩৮) নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভূক্ত ১৩ আসামির মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় এখনো পলাতক রয়েছে প্রধান আসামী শেখ হান্নান, তার দুই ভাই শেখ জুনায়েদ ও শেখ জাহিদসহ ৯ আসামী। এছাড়া অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকেও সনাক্ত করা হয়নি। রূপসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবদুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতেই চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি হান্নান শেখ এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ গ্রেফতার চার আসামি হলো হান্নানের সহযোগী নাদিম শেখ (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩৪), মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও খায়রুল ইসলাম (৩২)। এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলো হান্নানের সহোদর শেখ জুনায়েদ ও শেখ জাহিদ, মিরাজ হাওলাদার, মো. জিয়াদ, মো. মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম (বড়), নাদিম পেয়াদা, শামীম, কলে¬াল, রিয়াদ, মো. রাবিক ও নূর জামান।

স্থানীয়রা জানান, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর বিকালে রূপসা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের খেজুরতলা সংলগ্ন জুনায়েদের ডকইয়ার্ডে একটি বট গাছের সঙ্গে বেঁধে নিয়ামুল করিমকে নির্যাতন করা হয়। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। নিহত নিয়ামুল করিম স্থানীয় ফরেন মার্কেট এলাকার শেখ সাইদুল করিমের ছেলে। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে চিংড়ি মাছ কিনে রূপসায় পাইকারী বাজারে বিক্রি করতেন। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দু’ভাই ও দু’বোনের মধ্যে তিনি বড়।

নিহতের বাবা শেখ সাইদুল করিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মামলা করেছেন। মামলায় নির্যাতনকারী হিসেবে নিয়ামুলের কর্মস্থলের মালিক হান্নান শেখকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উলে¬খ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের কথা বলা হয়েছে। শেখ হান্নান প্রজন্ম লীগের খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নানা অপকর্মের কারণে এক বছর আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

রূপসা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই গ্রেফতার চার জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিয়ামুলকে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।