চৌগাছা, যশোর : যশোরের চৌগাছায় কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ইয়াসির আরাফাত পলাশ (৩৫) নামে এক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার খুন হয়েছেন। খুন করে তার ব্যবহৃত সুজুকি জিকজাক একটি মটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি ক্যাবল লাইনের (ডিশ লাইন) ব্যবসা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬ টা ১৫মি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ এবং আলামত উদ্ধার করছিল। নিহত পলাশ উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে স্থায়ীভাবে কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের কোন এক সময় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশের সিটি ক্যাবল লাইনের ম্যানেজার ও তার চাচাতো ভাই সাকিব জানান, ‘ক্যাবল লাইনের কাজ সেরে প্রতিদিন দুপুরে ভাইকে ফোনে জানিয়ে খেতে যাই। বৃহস্পতিবার দুপুরেও একইভাবে তার মুঠোফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পেয়ে বিভিন্নস্থানে খুঁজতে থাকি। কিন্তু কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিধান নামে ক্যাবল-লাইনের সাবেক এক কর্মচারী বলে তোমার ভাইকে কেউ মার্ডার করে ফেলে রেখে গেছে। আমরা ক্লিনিকে এসে দেখি গায়ের জামা দিয়ে হাত দুটি বেধে রেখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে রেখে বাইরে থেকে ক্লিনিকের তালা মেরে রেখে গেছে। দুর্বত্তরা এসময় তার ব্যবহৃত সুজুকি জিকজাক মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।’ নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের সাথে কারো শত্রুতা ছিল না। তবে ক্যাবল লাইন কেন্দ্র করে উপজেলার দুলালপুর গ্রামের জামিনুর রহমান ওরফে বুলুর সাথে গোলমাল ছিল। বুধবার (১ নভেম্বর) চৌগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে বিচার-শালিস করে মিমাংশা করা হয়। এরপরও আমার ছেলে খুন হয়ে গেল। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’ চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ এবং হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহ চলছে।