জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-২৫ - ২০:৫০

কয়রা প্রতিনিধিঃ নতুন বছরের শুরুতেই প্রজনন মৌসুমে দুই মাসের জন্য সুন্দরবনসহ সকল নদ নদীতে নিষিদ্ধ হচ্ছে কাঁকড়া ধরা। অথচ এসময় আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বেশী থাকায় অসাধু জেলেরা সুন্দরবনের কাঁকড়া ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বন বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার ৩ টি স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে সারা বছর প্রায় সহস্রাধীক জেলে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরে থাকে। তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ২ মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম থাকায় সরকারের নির্দেশে পারমিট বন্ধ থাকে । খবর নিয়ে জানা গেছে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম শুরুর কিছু দিন আগে থেকে বাজারে কাঁকড়ার বাজার মূল্য কয়েক গুন বেড়ে যাওয়ায় কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে জেলেদের অগ্রিম টাকা দিচ্ছেন। সূত্র জানায়, বিগত বছরে প্রজনন মৌসুম জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কয়রায় প্রতি কেজি কাঁকড়া হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় এবারও বেশি দামে বিক্রি হবে ভেবেই অগ্রিম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে বন বিভাগ ও কোষ্টগার্ড কোন কাঁকড়ার জেলেকে প্রজনন মৌসুমে বনে ঢুকতে দেবে না এমন ধরনের প্রস্তুতি আগেই নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে কয়রা উপজেলার ৪নং কয়রা , জোড়শিং, কাটকাটা, খোড়লকাটি বাজার, বানিয়াখালি, , হরিহরপুর, মঠবাড়ী, ও ৬ নং কয়রা গ্রামের কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে কয়েক শতাধীক জেলে প্রস্তুত করেছে। সূত্র জানায় এসব ব্যবসায়ীরা বর্তমান কাঁকড়ার বাজার মূল্য বাড়তি দেখে পুলিশ, বন কর্মচারি, সাংবাদিক সহ ছাত্র নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এদিকে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অনেকেই এ প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান পত্রিকায় না লেখার জন্য এবং তারা সবাইকে ম্যানেজ করে এবার ব্যবসা করবেন। খবর নিয়ে আরও জানা গেছে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাপ দেখে বন দস্যুরা অনেক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কারন বনের মধ্যে যে সব এলাকায় কাঁকড়া বেশি পাওয়া যায় সে সব খালগুলোতে বনদস্যুরা আগেই দখল নিয়ে আছেন এবং বেশি টাকা নিয়ে পছন্দের ব্যবসায়ীদের সেই সব খালে জেলে পাঠাতে বলবেন। ফলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল আবারও ধারনা করছেন, এবারও প্রজনন মৌসুমের ২ মাসে ডিম ওয়ালা কাঁকড়া সুন্দরবন থেকে বেশি ধরা পড়বে। কেননা ডিম কাঁকড়া প্রতি কেজি হাজারের বেশি দামে বিক্রি হয়। সে জন্য বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে হুমকির মুখে থাকা সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র রক্ষার্থে বনবিভাগ ও প্রশাসন কে আরও তৎপর হয়ে অসাধু কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন।