৩ মে দুপুর বেলা। দিল্লি এয়ারপোর্টের কাছে পুলিশ স্টেশনের সামনের রাস্তায় পায়চারী করছিলো একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। তার নাম দেবেন্দ্র কাপরি।
সন্ধ্যেবেলা দেবেন্দ্র থানায় ফিরে আসে বিশাল এক স্যুটকেস নিয়ে। সেটি খুলে দেখে ডিউটি অফিসারের চোখ তো ছানাবড়া! এই স্যুটকেসে ছিলো একটা ল্যাপটপ, ক্যামেরা, আইফোন, নগদ ক্যাশসহ আরো অনেক কাপড়চোপড় ও কাগজপত্র।
এয়ারপোর্ট থেকে পাহাড়গঞ্জে একজন কাশ্মিরী যাত্রীকে নামিয়ে দিয়েছে দেবেন্দ্র। সেই ভুল করে ফেলে গিয়েছিলো এই স্যুটকেস। এরপর যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে দেবেন্দ্র। অপেক্ষার এক পর্যায়ে সে একটু ঘুমিয়েও নেয়। কাছেরই এক গ্রামে সে থাকে। এরপর আবার এয়ারপোর্টের কাছের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে চলে আসে সে।
এরপর উপায়ন্তর না দেখে সে স্যুটকেস নিয়ে সোজা চলে যায় পুলিশ স্টেশনে। ডিউটি অফিসার স্যুটকেসে পাওয়া একটি নাম্বারে ফোন দিয়ে জানতে পারে, লোকটি সেই কাশ্মিরী যাত্রীর ভাই। পরে তার কাছেই জমা দেয়া হয় সেই স্যুটকেস।
পুলিশ অফিসার রীতিমতো মুগ্ধ ট্যাক্সি ড্রাইভারের সততায়। বলছিলেন, এই ড্রাইভারকে পুরস্কার দেয়া উচিত।