ইউনিক প্রতিবেদক:
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে দেশ ও জাতির জন্য গৌরবময় অসংখ্য অর্জন। সমৃদ্ধ সেসব অর্জন জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের ঠিকানা। স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের যেভাবে হলো, সে শব্দ প্রাপ্তিতে সংগঠনটির অবদান ইতিহাসের পাতায় আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন দাবি ও প্রেক্ষাপটের আলোকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠিত করার দাবিতে; সর্বোপরি সাংগঠনিক প্রয়োজনীয়তা ও সংঘবদ্ধভাবে সফল আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। এ ছাত্র সংগঠনটিই হলো আওয়ামী লীগের প্রাণ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমাদের দিয়েছেন স্বাধীনতা আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে পিতার পথ ধরে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সরকার প্রধান হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুযোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে আজ বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আর একাজে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সবসময়ের মতো জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করতে হবে।
খুলনা সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের আয়োজনে নগরীর লিনিয়ার পার্কে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিলন মেলা ও ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেডিএ‘র স্থায়াী সদস্য জামাল উদ্দিন বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু। ছাত্রলীগের ফোরামের আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আফরোজা জেসমিন বিথীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবিদ উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর, দিলীপ বর্মণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম লিটু, নুরে আলম ময়না, শাহিদা আক্তার রিনি, এ্যাড. মাহবুব রহমান, শহীদুল ইসলাম সবুজ সহ সাবেক ছাত্রলীগের নেতকর্মী, সমর্থক ও তাদের পরিবারবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মিলনমেলায় সবার জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, কৃতি শিক্ষার্থী সন্তানদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট, সকল বাচ্চাদের জন্য ক্রেস্ট প্রদান, ফানুস উড়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।