বাঘারপাড়ায় বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা ! 

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-০২ - ২০:০৯

রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করেছে। নিহত  জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতী বাঘারপাড়া উপজেলার করিমপুর এলাকার ইসমাইল মোল্যার মেয়ে এবং বাঘারপাড়ার বাউলিয়া গ্রামের মিলনের স্ত্রী।

নিহতের পিতা ইসমাইল মোল্যা জানান, চারপাঁচ মাস আগে বাঘারপাড়ার বাউলিয়া গ্রামের রুহুল বিশ্বাসের ছেলে মিলনের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মিলন ঢাকার একটি কোম্পানির গাড়ির চালক পরিচয় দিলেও বিয়ের পর সে কখনও ঢাকায় যায়নি।

সম্প্রতি মেয়ে জামাই (জান্নাতি ও মিলন) আমার শালির বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামে যায়। সেখানে ৩০ ডিসেম্বর রাত ২.৫০ মিনিটের সময় জান্নাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে বারান্দায় ঝুলিয়ে রেখে তার খালা মর্জিনাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর দেয়। এরপর বারান্দায় তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

৩১ ডিসেম্বর সকালে মনিরামপুর থানার এসআই তোবারেক ঘটনাস্থলে আসেন এবং নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।  ওই দিন বিকাল ৩.৫০ মিনিটে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহতের খালা মর্জিনা ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন জানান, জান্নাতিকে যে অবস্থায় ঝুলানো পাওয়া গেছে, সেখানে তার হাটু ভাজ করা অবস্থায় ছিল। আর ওড়না টি বাধা ছিল জান্নাতির কাধ পর্যন্ত। কোন অবস্থায় আত্মহত্যা হতে পারে না। এ ঘটনায় পুলিশ মিলনকে থানায় নিয়ে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়।

এদিকে মিলনের বোন পাখি রোববার নিহতের পিতার করিমপুর বাড়িতে যান। সেখানে জান্নাতির পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে বলেন, কোন মামলা করে তাদেরকে কিছুই করতে পারবে না। পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তার ভাইকে ছাড়ানো হয়েছে বলে তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দেন।

এদিকে সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের মুখে আঘাতের চিহ্ন আছে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন থানার এসআই তোবারেক। তিনি বলেন, আমার সন্ধেহ হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে জান্নাতি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। টাকা নিয়ে মিলনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে জানার জন্য তাকে থানায় ডেকে নিয়ে এসেছিলাম।

নিহতের পিতা ইসমাইল মোল্যা জান্নাতি হত্যার সুষ্ঠুতদন্ত ও দোষী মিলনের শাস্তির দাবি করেছেন।