মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে একগ্লাস পানি খাওয়াও ঠিক নয়

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১৯ - ১৯:২৯

কুষ্টিয়া : মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে একগ্লাস পানি খাওয়াও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মাদক বিক্রি করা মানে খারাপ কাজ। এই মাদক ব্যবসায়ীরা দেহব্যবসায়ীদের থেকেও জঘণ্য। তাই তাদের বাড়ীর একগ্লাস পানিও পান করা ঠিক নয়। সোমবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ উত্তর কাটদহ এলাকায় সন্তানকে মাদকমুক্ত রাখতে মা’দের ভূমিকা শীর্ষক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে চলছে তাই নারী হিসেবে প্রথমেই আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে। কারন আপনি একজন সচেতন মা। আপনার সন্তান কখন কোথায় যায় কি করে এসব খোঁজখবর রাখবেন। এছাড়াও উঠান বৈঠকে উপস্থিতদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন গোপনে তথ্য দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে জানাবেন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তথ্য গোপন রাখা হবে। এছাড়াও প্রয়োজনে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য দেবার অনুরোধ জানান তিনি। সাফের সহযোগীতায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় এই উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। মিরপুর উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার নাসরিনের সভাপতিত্বে ও সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজু, আহম্মেদপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মাজহারুল ইসলাম, পোড়াদহ জিআরপি থানার এসআই আবুল হাশেম খন্দকার, ইউপি সদস্য রুপালী, রবিউল ইসলাম, স্থানীয় এলাকাবাসী মিনতী রাণী প্রমুখ। এই এলাকার একটা সন্তানেরা যেন নষ্ট না হয়, মাদকাসক্ত না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে মায়েরা সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। আদর্শ শিক্ষিত মা ব্যতিত প্রশিক্ষিত জাতি গড়া অসম্ভব। বক্তারা আরও বলেন, মাদকাসক্তির করালগ্রাসে নিপতিত জাতির কর্ণধার যুব সমাজ। এই অবস্থা থেকে যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার। এছাড়াও উঠান বৈঠকে বাল্য বিয়ে, যৌতুক না দেওয়ারও আহবান জানান তারা। উঠান বৈঠকে উপস্থিত চন্দনা রানী নামের এক গৃহিনী বলেন আমার সন্তান নাই। তাই মাদকসেবনেরও ভয় নয়, অথচ আমার বাড়ীর পাশে যারা মাদক সেবন করে তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে ভয় হয়। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। যদি আরও দশজন আমার সাথে একমত পোষন করে তবেই সেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়া ইমন রুবেল, প্রকৌশলী অভি মোল্লা, আনসার সদস্য রবিউল ইসলামসহ সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।