মোল্লাহাটে পান বরজে বিষ দিয়ে কৃষকের ক্ষতি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২২-০৩-২৪ - ০০:২৭

ইউনিক প্রতিবেদক, মোল্লাহাট, বাগেরহাট : 

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুষ্কৃতিকারীর দেয়া বিষে অসিত কুমার বিশ্বাস নামে এক কৃষকের পান বরজের অন্তত চার লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে গত রবিবার রাতে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ধিগ্ধ পাঁচ জনের নামে মোল্লাহাট থানায় অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। 

মোল্লারকুল গ্রামের ওই কৃষক অসিত কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘটনার রাতে তার ৩৩ শতাংশের একমাত্র পান বরজে কে বা কারা বিষ দেয়। এতে বরজের সকল পানসহ পান লতা মারা যায়। অনেক আশা নিয়ে সংসারের খাওয়া পরা (ব্যয়) করাসহ দেনা পরিশোধ করার জন্য গত একবছর ধরে পান বরজ প্রস্তুত করেছি। পান কেবলমাত্র বিক্রি করার মতো হয়েছিল। এমতাবস্থায় পরিকল্পিতভাবে আমার সর্বনাশ করা হয়েছে। এ বরজ প্রস্তুত কালে একটি পক্ষ বাঁধা দিয়েছিল, এছাড়া এ গ্রামেরই কুমুদ চন্দ্র খাঁ আমার স্ত্রীকে বারবার কু-প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়, এরা ছাড়া ক্ষতি করার মত আর কেউ নেই, তাই এরাই আমার পান বরজে বিষ দিয়েছে বলে সন্দেহ করি।

অসিত কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী জানান, দেনার দায়ে আমার স্বামী জেলহাজতে ছিলেন প্রায় আড়াই মাস। ওই সুযোগে একই এলাকার কুমুদ চন্দ্র খাঁ আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়া সহ সকল প্রকার সাহায্য করতে চান। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তার থেকে সাবধান থাকি। এরপরও তিনি বিভিন্ন অযুহাতে আমার বাড়িতে এসে উত্যক্ত করেন। ফলে তার ভয়ে ও সম্মান রক্ষার জন্য আমি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে আমার বাবার বাড়িতে থাকি। এরপর আমার স্বামীর জামিনের পর বাড়ি ফিরে আসি। তিনি আরো জানান, আমি নিশ্চিত যে, কুমুদ চন্দ্র খাঁ আমাদের চরম অভাবের মধ্যে ফেলার জন্য এ সর্বনাশা ঘটনা ঘটিয়েছে। যাতে বাধ্য হয়ে তার সাহায্য নিতে হয় এবং তার অসৎ উদ্দেশ্যে সফল হয়। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য বাড়িতে গিয়েও না পাওয়ায় মোবাইল করা হলে কুমুদ চন্দ্র খাঁ বলেন, তাদের সাথে (ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার) আমার ভালো সম্পর্ক, গ্রামের লোকজনের থেকে আপনারা জানতে পারবেন। এরপর ব্যস্ততার অজুহাতে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিলন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া যেহেতু তারা বিষ প্রয়োগকারীকে চোখে দেখেন নাই, সেহেতু বিষয়টি জটিল, তবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।