যশোরে ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদের দাবি

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-০১ - ২২:২৯

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যাকা-ের ঘটনার ৫দিনেও কোন আসামি আটক হয়নি। হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার ও আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নিহতের পিতা অজ্ঞাত পরিচয়ে ১০/১২জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানিয়েছেন।
নিহত ইমনের পিতা দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, শনিবার রাত আনুমানিক ১১ টায় বেজপাড়া গোলগোল্লার মোড় সালামের ফার্নিচারের দোকানের সামনে রাস্তায় চৌকিতে বসে ওই এলাকার আবুল হোসনের ছেলে রানা,সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল,মৃত মোসলেমের ছেলে শাহিন শাহ,পিরু হোসেনের ছেলে মুরাদ বসে গুলু খেলছিল। চৌকির সাথে পশ্চিম পাশে লাগানো বেঞ্চে ওই এলাকার জামালের ছেলে শাকিল ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ওরফে ইমন বসে লুডু খেলা দেখছিল। বেঞ্চের দক্ষিণ পাশে ওই এলাকার কামালের ছেলে কালাম ও সালাম অবস্থান করছিল। হঠাৎ ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে এসে ইমনকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। গুলি ইমনের বুকের বাম পাশে ও ডান কাদে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর অবস্থায় ইমনকে ইজিবাইক যোগে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। পরের দিন রোববার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ইমনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্নর পর পুলিশ হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছে, যারা লুডু খেলছিল তারা দূবৃর্ত্তদের দেখেছে। ইমনকে পিস্তল দিয়ে কে গুলি করেছে তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত লুডু খেলোয়াড়রা সকলে প্রত্যক্ষ করেছেন। তারাই বলতে পারেন ইমনকে কে গুলি করেছে। ইমনের হত্যা মিশনে কে অংশ নিয়েছে তা পরিস্কার হয়ে যাবে প্রত্যক্ষদর্শীরা মুখ খুললে।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, মনোয়ার হোসেন ইমন এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে এটা নিশ্চিত করে এক বাক্যে সবাই দাবি করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শীদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তবে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যা মিশনে কারা জড়িত সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা পাবেন বলে দাবি করেন।তাছাড়া, এই হত্যা মিশনে যারা জড়িত তারা ঘটনার রাত থেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে বলে এলাকার সূত্রগুলো জানিয়েছেন।