যশোরে জেএমবির আঞ্চলিক সংগঠক মোজাফ্ফর আটক : অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২৪ - ২১:৫৬

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : জেএমবির আঞ্চলিক সংগঠক মোজাফ্ফর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। তাকে আটকের আগে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে তার যশোর সদর উপজেলার পাগলাদহের বাড়িটি সন্ধ্যা থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টায় অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়ে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মোজাফ্ফরকে নিয়ে নিয়ে বাড়িটিতে ঢোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগজিন, ৫০টি গ্রেনেডের বডি, বিপুল পরিমাণ জেল, তিনটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।’
‘মোজাফফর নব্য জেএমবির আঞ্চলিক সংগঠক। তার বাড়িতে নিয়মিত জঙ্গিদের বৈঠক হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোজাফফরকে যশোর শহর থেকে আটক করা হয়। তাকে নিয়ে বাড়িটিতে ঢুকে উল্লেখিত অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,’ ব্রিফিংয়ে বলছিলেন এসপি।
তিনি আরও জানান, মোজাফ্ফর হোসেন তিনি বাগেরহাট মোল্যাহাটের বাসিন্দা।তার পিতার নাম আজিজুর রহমান। ১২-১৫ বছর আগে এ জায়গায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রাত ৯টা ২৫ মিনিটে মোজাফফরকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম ঘিরে রাখা বাড়িটিতে ঢোকে। রাত দশটার দিকে তাকে নিয়ে পুলিশ টিম বেরিয়ে যায়। বাড়িতে তার স্ত্রী ও কন্যারা আছেন। তাদেরকে পুলিশ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এর পর সংবাদকর্মীদের ব্রিফ করেন এসপি।
ওই বাড়ির পাশের বাড়ির মালিক পুলিশ সদস্য বাবুল শেখের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন জানান, মোজাফ্ফার হোসেনের স্ত্রীর নাম মিনা খাতুন। তাদের তিন মেয়ে। এর মধ্যে হাবিবা খাতুনের বিয়ে হয়েছে। বাকী দুইজন ফারজানা (১৪) এবং নাঈমা (১২) স্কুলে পড়াশোনা করেন। মিনা খাতুন বাড়িতে হাতের শেলাইয়ের কাজ করেন এবং মহিলাদের বিভিন্ন জায়গায় তাবলিগে অংশ নেন।
রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় বাড়িটির আশপাশে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। আর বাড়ি ঘিরে রাখার খবর পেয়ে আশপাশের বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে জড়ো হন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ যশোর শহরতলীর পাগলাদহ এলাকার মোজাফ্ফর হোসেনের ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিরামপুর-পাগলাদহ গ্রামের সংযোগ সৃষ্টিকারী ব্রিজের অদুরে ওই বাড়িটির অবস্থান। ঘটনাস্থলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে শ’খানেক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। তখন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে তিনি জানান, বগুড়া ডিবি, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সদস্য, গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, যশোর পুলিশ এবং বিস্ফোরক ডিসপোজাল ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়-সাতটি টিম বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। তবে বাড়ির মধ্যে কে বা কারা অবস্থান করছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।