রূপগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-২৬ - ১৮:২১

আল-আমিন মিন্টু, রূপগঞ্জ  (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শাহনাজ আক্তার মুন্নি নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মোখ-চোখ বেঁধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থীকে  উদ্ধার করতে যাওয়ায় নারীসহস তিন প্রতিবাদীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। শনিবার রাতে উপজেলার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহনাজ আক্তার মুন্নি উপজেলার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকার আবু সাঈদের মেয়ে।

শিক্ষার্থীর মা তহুরা বেগম জানান, তার মেয়ে শাহানাজ আক্তার মুন্নি গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই এলাকার ইসমাইল স্কুলে আসা যাওয়ার সময় তার মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় শাহানাজ আক্তার মুন্নিকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখায় ইসমাইল। শনিবার রাতে তার মেয়ে গন্ধর্বপুর নামাপাড়া তার ননাশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় লম্পট ইসমাইল রাস্তায় একা পেয়ে শাহানাজ আক্তার মুন্নিকে ওড়না দিয়ে মোখ-চোখ বেঁধে জোরপুর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে শাহানাজ আক্তার মুন্নিকে বেধরক মারপিট ও  শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। শাহানাজ আক্তার মুন্নির ডাক-চিৎকার শুনে ভাগিনা মিজানুর রহমান, ননাশ নাসিমা বেগম ও ননাশের স্বামী আক্তার হোসেন গিয়ে বাঁধা প্রদান করলে ইসমাইল ও তার সহযোগী রুস্তম, কাশেম, আজাহার আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এসময় হামলাকারীরা আক্তার হোসেনের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বাবা রুস্তম আলীর প্রভাব খাটিয়ে ইসমাইল একের পর এক অন্যায় মুলক কাজ করে আসছে। এছাড়া ইসমাইল একজন মাদক সেবী। এলাকায় বেশ কয়েকবার তার বিরুদ্ধে বিচার-শালিশও হয়েছে। এরপরও তার অপরাধমুলক কর্মকান্ড বন্ধ হয়নি। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা চালিয়ে থাকে ইসমাইলসহ তার লোকজন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ব্যপারে তদন্ত মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।