ইউনিক ডেস্ক :
কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় রিমান্ড শেষে চালক-মাস্টারসহ আট আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শুক্রবার এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুর নাহার ইয়াসিন।
কার্গো জাহাজ রূপসী-৯ এর আট আসামি হলো মাস্টার রমজান আলী শেখ, নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, নাদিম হোসেন, লস্কর সুমন হোসেন, ইয়াসিন, সুকানি জাহিদুল ইসলাম ও গ্রিজার রিয়াদ হোসেন।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে ১০ লাশ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত হয় এবং রূপসী জাহাজের আটজনের নামে মামলা ও রিমান্ড আবেদন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, বিআইডব্লিটিএ-এর মামলায় আট আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে নৌ-পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের পরিদর্শক ফোরকান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সময়ের নানা তথ্য দিয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা শুরু হয়েছে। আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় গত রোববার বেলা ২টার দিকে সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় এম এল আশরাফ উদ্দিন নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এতে দুই শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ও নৌ-নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালিয়ে হত্যার অভিযোগে বন্দর থানায় এমভি রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরেকটি মামলা হয়েছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের আদালতে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বজলুর রশিদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।