ডুমুরিয়ায় নদী থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশঃ ২০২৫-০৩-০৮ - ১৮:৫৮

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ ডুমুরিয়া- অভয়নগর সীমান্তে হরি নদী থেকে ঐ ব্যক্তির ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহত জিয়াউর রহমান জিয়া ডুমুরিয়া উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামের খবির উদ্দিন মোড়লের বড় ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) একজন ইরাক প্রবাসী। এক বছর আগে তিনি বাড়িতে আসেন। ২ মাস ধরে চাচাত ভাই লিটন মোড়লের সাথে মাছের ব্যবসা করতেন। তারা মাছ কিনে ভারতে পাঠাতেন। নিহত জিয়াউর রহমানের ছেলে রাতুল (১১) জানায়, চেঁচুড়ি বকুলতলা থেকে গতকাল ইফতার করে বাড়ি এসে ভাত খান। পরে একজনের ফোন পেয়ে আবার আমার আব্বু বেরিয়ে যান। তারপর আর ফিরে আসেননি। একাধিক সূত্র জানায় রাত ১১টা পর্যন্ত জিয়া বকুলতলা এলাকায় ঘুরাফেরা করেছেন। লিটন মোড়ল জানান, শুক্রবার বিকেলে আড়তে মাছের টাকা দিয়ে চলে আসি। আর আমার সাথে দেখা হয়নি। সকালে জিয়ার ছোট ভাই রবিউল এসে আমাকে বলে ভাইকে পাচ্ছিনা। গতকাল বিকেলের পর আমার সাথে দেখা হয়নি বললেই রবিউল ফিরে যায়। পরে জানায় নদীতে তার ভাইয়ের লাশ ভাসছে। সকাল ১০টায় নদীতে জিয়াউর রহমানের লাশ ভাসতে দেখে শত শত নারী পুরুষ ভিড় জমায়। নদীর পাড়ে লাশ উঠানোর পর দেখা যায় নাকে মুখে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত চিহৃ। খরব পেয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল আনাম (বি সেির্কল), ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা, রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলীসহ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ইব্রাহিম বলেন, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জিযাউর রহমান জিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে। দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যার মোটিভ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে একজন অপরিচিত লোক জিয়ার সাখে চলাফেরা করছিল। পেছনের রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরার জর‌্য পুলিশ তৎপর রয়েছেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত জিয়াউর রহমানের ভাই রবিউল ইসলামকে থানায় আনা হয়েছে। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।