তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা) // খুলনার ফুলতলা থানায় ফ্যাসিস্টের কথিত দুই নাশকতা মামলায় দীর্ঘ অর্ধযুগ পর জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকসহ বিএনপি জামায়াতের ৩৪ নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পেলেন। সোমবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্তি জেলা ও দায়েরা জজ-২ এর বিজ্ঞ বিচারক নীলা কর্মকার রায় ঘোষনা করেন।
বেকসুর খালাস প্রাপ্ত আসামীরা হলেন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গাওসুল আযম হাদী ও ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ সাইফুল হাসান খান ও ফিরোজ জমাদ্দার, ইউপি সদস্য ইব্রাহীম গাজী, প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক শামসুল আলম খোকন, বিএনপি নেতা আহসানুল হক লড্ডন, হুমায়ুন কবির মোল্যা, এস এম সোহেল, মোঃ কামাল সরদার, আনিছুজ্জামান রনি, মোঃ হাবিবুর রহমান, নিজাম মোল্যা, দাউদ গোলদার, আলতাব মাহমুদ. এস এম জাকির হোসেন, মোঃ আমানুল্লাহ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মিয়া
গোলাম কুদ্দুস, আঃ আলিম মোল্যা, সনোয়ার মাস্টার, মোঃ আক্তার হোসেন, জাকারিয়া হুসাইন, হালিম শেখ, রবিউল ইসলাম রবি, হাবিবুর রহমান, আবু সালে মিজানুর রহমান, গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, মোঃ আকবার আলী বিশ্বাস, আঃ মান্নান শেখ, আতিয়ার মোল্যা, আতিয়ার আকুঞ্জী, আতাউর রহমান ফারুক, নওশের সরদার, নিজাম মোল্যা, জাহাঙ্গীর আলম সরদার।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ফুলতলার গাড়াখোলা মুক্তিশ^রী রেল গেটের কাছে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন অভিযোগে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আঃ জলিল বাদি হয়ে জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকসহ বিএনপি জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেক ব্যক্তিকে আসামী করে ফুলতলা থানায় পৃথক দুটি মামলা (নং-১১ এবং ১২, তারিখ-১৫/১২/২০১৮) করেন। ওসি মোঃ মনিরুল ইসলামের তত্ত¡বধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মোঃ রতনুজ্জামান তদন্ত শেষে ১৯ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি এবং এজাহারের বাইরে আরও ৮ ব্যক্তিকে জড়িয়ে আদালতে চার্জসীট (নং-৯১ ও ৯২, তারিখ-১৯/৬/২০১৯) আদালতে দাখিল করেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মামলা পরিচালনা কলিন সময়ে ২৫ স্বাক্ষীর মধ্যে ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে মামলার বাদিসহ কোন স্বাক্ষীই আসামীদের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষ্য দাড় করাতে পারেনি। ফলে দীর্ঘ শুনানী শেষে গতকাল
(সোমবার) খুলনার অতিরিক্তি জেলা ও দায়েরা জজ-২ এর বিজ্ঞ বিচারক নীলা কর্মকার সকল আসামীকে বেকসুর খালাসের রায় প্রদান করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন ও এ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা।