ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এর নোয়া চাচা মিয়া আব্দুল ওয়াদুদ (৬৬) রোববার ভোররাতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বাদ আছর ইমাম বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মানুষ মরণশীল। প্রতিটা মৃত্যু আমাদেরকে পরকালীন জীবন সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। মৃত্যুর কথা স্মরণে থাকলে কোন মানুষ অন্যায় অত্যাচার অবিচার করতে পারে না, অন্যের উপর জুলুম করতে পারেনা, অন্যের জমি দখল করতে পারেনা। সব সময় পাপাচার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। ক্ষণস্থায়ী এই পার্থিব জীবনে একটু ভালো থাকার জন্য আমরা অনেক কষ্ট করি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করি কিন্তু পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনের ব্যাপারে আমরা উদাসীন। মৃত্যুর পর কবরের জীবন থেকেই আমাদের হিসাব শুরু হবে যদি সে হিসাব আমরা সঠিকভাবে দিতে না পারি তাহলে এখান থেকে আমাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। জাহান্নামের শাস্তি বড়ই ভয়ানক যা দুনিয়ার কোন শাস্তির সাথে তুলনা চলেনা। সুতরাং আমাদের সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মরহুম চাচার সাথে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সাবেক এমপি আরো বলেন, চাচা আমার এক বছরের ছোট। তার সঙ্গে বন্ধুর মতোই চলতাম। একসাথে খেলেছি একসাথে ঘুরে বেড়িয়েছি। তার সাথে আমার সম্পর্কটা অনেক গভীর ছিল। তিনি মূলত সাদাসিধে জীবন যাপন করতো। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে আমার ঢাকা থাকার সুবাদে তার সাথে দেখা কম হত। আমি বাড়িতে আসলে তিনি আমার কাছে আসতেন, ফোন করতেন, আমার খোঁজ খবর নিতেন। আপনারা সকলে আমার চাচার জন্য দোয়া করবেন মহান আল্লাহ যেন আমার চাচার ভুলত্রুটি ক্ষমা করে তাকে যেন জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন। জানাযার নামাজে অন্যানের মধ্যে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান,নড়াইল জেলা আমীর আতাউর রহমান বাচ্চু, খুলনা জেলার নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মুন্সী মইনুল ইসলাম, বাইতুল মাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শেখ ইকবাল হোসেন, এ্যাড. আবু ইউসুফ মোল্যা, মাওঃ মুক্তার হুসাইন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, খান জাহানারা থানা মাঠের আমির ডাক্তার সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, জেলা শিবির সভাপতি মোঃ ইউসুফ ফকির সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।