তালায় ১৮টি গাঁজা গাছসহ আটক ১

তালা প্রতিনিধি : তালায় ১৮টি গাঁজা গাছসহ অসিত বিশ্বাস (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ঘোনা গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘোনা গ্রামে বসত বাড়ির পিছন থেকে গাঁজা গাছসহ তাকে আটক করা হয়।
তালা থানার এসআই রাজীব সরদার জানান, বসত বাড়িতে গাঁজার গাছ রোপন করত অসিত বিশ্বাস। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার ঘোনা গ্রামের তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বসত বাড়ীর পিছন থেকে ১৮টি গাঁজা গাছসহ (ওজন ১ কেজি ৪০০ গ্রাম) তাকে আটক করা হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, অসিত বিশ্বাসের বিরুদ্বে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রামপালে সুদের টাকার চাপে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

রামপাল প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ভর্ৎসনা করায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রাজকুমার বিশ্বাস (৬০) তিনি উপজেলার গৌরম্ভা এলাকার জিতেন বিশ্বাসের ছেলে । লাশের সুরতহাল করার সময় মৃতের পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। যাতে লেখা ছিল- তুহিন ও মিলন আমাকে বাঁচতে দিল না, তুহিন আমাকে লোকজনের মধ্যে গালিগালাজ করে, তাই আমি এই পথ বেছে নিয়েছি”।
শুক্রবার (১৯ মে) ভোরে মৃতের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার স্বামীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মৃতের জামাই উত্তম কুমার সরকার বাদী হয়ে গৌরম্ভা এলাকার হারান চন্দ্র রায়ের ছেলে তুহিন রায় (৫০) এবং অজিত অধিকারীর ছেলে মিলন অধিকারী (৪৫) সহ আরো২/৩ জনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১১( তারিখ ১৯/০৫/২৩ )রামপাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকারের নেতৃত্বে একটি দল আজ (শনিবার) রাত পৌনে তিনটার দিকে খুলনা লবনচরা এলাকার জিন্নাহপাড়ার ৫নং গলিতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি তুহিন রায়কে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, রাজকুমার একজন ঘের ব্যবসায়ী। সে ঋণগ্রস্থ ছিল। আসামিদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণগ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে সুদ পরিশোধ করলেও মূল টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আসামীগন মূল টাকা ফেরত পাওয়া জন্য বিভিন্ন সময় মানুষিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৮ মে বিকেলে গৌরম্ভা বাজারের মাছের চান্দির সামনে আসামীগণ টাকার জন্য রাজকুমারকে বিভিন্ন চাপ ও গালিগালাজ করেন। আর সেই কষ্টেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রাজকুমার। মৃত্যুর আগে বুক পকেটে লিখে রেখে যায় একটি চিরকুট। যাতে লেখা রয়েছে- তুহিন ও মিলন আমাকে বাঁচতে দিল না, তুহিন আমাকে অনেক গালিগালাজ করে, তাই আমি এই পথ বেছে নিয়েছি”।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস,এম, আশরাফুল আলম জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য চম্পক কুমার কুন্ডু মোবাইল ফোনে রামপাল থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল করে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামী তুহিন রায়কে গতরাতে খুলনা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।

ফকিরহাটে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর পরোলোকগমন

ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও টাউন নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (৭৮) পরলোক গমন করেছেন।
শুক্রবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। মূত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র দুই কন্যাসন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিন বিকেলে শ্রী শ্রী চামারিয়া মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
মূত্যুর খবর পেয়ে তাঁকে শেষবারের মত দেখার জন্য তাঁর বাড়ির উপস্থিত হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবীর কুমার মিত্র, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ ঘোষ, পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মোড়ল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক অঞ্জন কুমার দে, উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় ধর সুমন ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মুরারী মোহন পাল সহ সর্বস্তরের মানুষ। এসময় তারা গভীর শোক প্রকাশ ও শোকার্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ফকিরহাটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে চৌদ্দ মাসের শিশু আব্দুল্লাহ শেখ মারা গেছে। উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কামটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত আব্দুল্লাহ শেখ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কামটা গ্রামের কামাল শেখের ছেলে।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার জানান, শনিবার (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে শিশু আব্দুল্লাহ শেখ অন্য শিশুদের সাথে নিজ বাড়ির উঠানে খেলছিল। খেলার কোন এক সময় বাড়ির পুকুরের পানিতে সে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনার সময় শিশুটির মা ঘরে রান্না করছিল বলে স্বজনরা জানান।
খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাইমিন আব্দুল্লাহ জানান, ওই শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবার। তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন শিশুটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চত করেন। তিনি বলেন আইনী প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দাকোপে নিকাহ রেজিষ্টার কল্যান সমিতি গঠন

দাকোপ প্রতিনিধি : বাল্য বিবাহ নিরোধে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় দাকোপ উপজেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতি গঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২ টায় চালনা পৌরসভার আছাভূয়া কাজী অফিসে চালনা পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার আলহাজ্ব জিএম ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিষ্টার কল্যান সমিতি খুলনা জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মাহাবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ সাচ্চু, জেলা আইন উপদেষ্টা এম কে এ আশিকুল্লাহ। বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার মোস্তফা আবুল হাসান, ইব্রাহিম হাওলাদার, মোঃ কামরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মাওলানা জিয়াদ আলী, গাজী আঃ রশিদ, আহম্মদ আলী মোড়ল, রফিকুল ইসলাম, হাসান গাজী, মহসিন মোল্যা, আঃ আজিজ, মোঃ হেলাল উদ্দিন ও খুকুমনি সরকার। সভায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে নিকাহ রেজিষ্টারদের কঠোর অবস্থানের আহবান জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে আলহাজ্ব জিএম ইমদাদুল হককে সভাপতি মোস্তফা আবুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক এবং ইব্রাহীম হাওলাদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষনা করে দাকোপ উপজেলা নিকাহ রেজিষ্টার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়।

খুলনায় বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তথ্য বিবরণী : বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরে খুলনা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ শাহ। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে ওজন ও পরিমাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে বিপণনের প্রতিটি ধাপে পণ্যের মান ও পরিমান সঠিক রাখা প্রয়োজন। ওজন ও পরিমাপে ডিজিটাল পদ্ধতি ভোক্তা সাধারণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি একক অনুসরণ করতে হবে। উৎপাদিত পণ্যের ওজন ও পরিমাপ বিষয়ে প্রচারের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে কায়িক পরিশ্রমের পরিবর্তে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধারবাহিকতায় উৎপাদিত পণ্যর সঠিক পরিমাপে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশনের সদস্য পদ লাভ করে।

খুলনা বিএসটিআই এর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সেলিম রেজা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, খুলনা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহসভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’র সহসভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন এবং খুলনা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আজম ডেভিড। ধন্যবাদ জানান বিএসটিআই’র উপপরিচালক (রসায়ন) সওদাগর শামীম ফারুক। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক মোঃ ফজলে করিম এবং সেভেন রিংস এর মোঃ নাজমুল হক। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী, ভোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নোবেল মাদকের সিন্ডিকেটে পড়েছে: সালসাবিল

বিনোদন ডেস্ক : বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে ডিবি কার্যালয় থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। সেখান থেকে বের হয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সালসাবিল। তিনি বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে যখন আমি সংসার শুরু করি তখন সে খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন। হুট করে সে একটা চক্রের মধ্যে পড়ে নেশা শুরু করে। তখনই তার আচার-ব্যবহার পরিবর্তন আসে। অন্য এক নোবেলে সে পরিবর্তন হয়। যে এ যাবত যত সমালোচিত কাজ নোবেল করেছে তার সবই নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর।’

তিনি আরও বলেন, ‘নোবেলের নেশা গ্রহণের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একটা সময় সে আমাকে প্রতি রাতেই মারধর করত। একদিন আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসেও আমাকে মারতে দেখেন। তারা নোবেল তখন জানতে চান আপনি মারছিলেন কেন? নোবেল তাদের উত্তর দেয় আমার মাথা ঠিক থাকে না তাই আমি তাকে মারি।’

সালসাবিল বলেন, ‘নোবেলের পরিবার ও আমার পরিবার মিলে বহুবার চেষ্টা করেছি নোবেলকে ঠিক পথে আনতে কিন্তু পারিনি। সে মাদকের শক্ত একটা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গেছে। সে ইচ্ছে করলেও যারা তাকে মাদক সরবরাহকরে তারা তাকে ছাড়তে দেবে না।’

২০১৯ সালে নোবেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও মাদকাসক্তির কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। অবশেষে চলতি মাসের শুরুতে নোবেলকে ডিভোর্স দেন সালসাবিল।

খুলনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে রিজভী

খুলনা : পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে খুলনায় এসেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (২০ মে) দুপুরে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নেতাকর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল অন্যায়ভাবে এবং সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে বর্বোরোচিত আক্রমণ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি ছিল, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে দেখার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।

হাসপাতালে তার সঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, বিএনপি নেতা আশরাফুল আলম নান্নুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে ১০ দফা দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।