খুলনা অফিস: খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সংগঠনের সকল শক্তি সঞ্চার করে আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার অর্ধশত বর্ষপূর্তি পালন সহ দেশকে মধ্যম আয়ে উপনীত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক দু:খ বেদনা আর ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতে পারে। সেসব ভুলে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে পুনরায় সরকার গঠন করতে হবে। সেজন্যে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অনুপ্রবেশকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের এখনই চিহ্নিত করে সংগঠনকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনে কোন মাদক ব্যবসায়ীর স্থান নেই। যারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস বা ভূমি দস্যুতার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা এবং ভূমি দস্যুতার সাথে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন খুনী, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এবং ভূমি দস্যুতার দায়ভার আওয়ামী লীগ বহন করবে না। সুতরাং অবিলম্বে ওই সকল সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধীদের গ্রেফতার করে আগামী প্রজন্মকে একটি সুখি সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেয়ার সহযোগিতা করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধীদের নির্মূল করে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির মোকাবেলা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কখনও দেশ জাতি এবং সংগঠনের সাথে বেঈমানী করতে পারে না। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা মহুর্তের মধ্যে জাতির সাথে বেঈমানি করে দেশকে বিক্রি করে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনা। সেজন্যে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে তাদেরকে চিরতরে স্তব্দ করে দিতে হবে। তাই আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করি।
গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সকল সহযোগী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় ও কর্মীসভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। মতবিনিময় ও কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান এমপি’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ, শ্যামল সিংহ রায়, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, হাজী মো. নুরুজ্জামান, আবুল কাশেম মোল্লা, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলুু, শেখ মোশাররফ হোসেন, রনজিত কুমার ঘোষ, লুৎফুন নেছা লুৎফা, মনিরুজ্জামান সাগর, বিএম সজীব, মীর বরকত আলী, নয়মী বিশ^াস সাথী, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর মো. সাহিদুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ আলী, মো. মোতালেব মিয়া, সৈয়দ এমদাদুল হক, এ্যাড. সাজ্জাদ আলী, কাজী তালাত হোসেন কাউট, নুরজাহান রুমি, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, রানা পারভেজ সোহেল, মোর্শেদ আহমেদ রিপন, শফিকুর রহমান পলাশ, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদ বন্দ, মো. খলিলুর রহমান, আব্দুস সালাম ঢালী, আব্দুল মালেক, জাহিদুল খলিফা, রাশিদুজ্জামান রিপন, কামরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, এস এম সাইদুর রহমান, রোজী ইসলাম নদী, নাসরিন আক্তার, এ্যাড. নুরুন্নাহার লাকি, রেজাউল করিম সবুজ, তাজমুল হক তাজু, এমরান, শাহীন আলম, হিরক কুমার গাইন, মো. রুম্মানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।