খুলনা অফিসঃ খুলনা পুলিশ সুপার জনাব নিজামুল হক মোল্যার খুলনার সার্বিক নির্দেশনায় খুলনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সিকদার আককাছ আলী, পিপিএম, এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাইকগাছা থানাধীন দেবদুয়ার গ্রামের জনৈক রেহেনা পারভীন (৩৮) ও তার স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম গাজী (৪৫) কে শত কোটি টাকা মূল্যমানের কথিক সীমানা পিলার সহ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা থানাধীন দেবদুয়ার গ্রামের জনৈক রেহেনা পারভীন ও গোপালপুর গ্রামের মৃতঃ বনিক গাজীর পুত্র এবং রেহেনার স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম গাজীসহ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ নকল সীমানা পিলার প্রস্তুত করে শত কোটি টাকা মূল্যমান বলিয়া প্রচার করতঃ প্রকৃত সীমানা পিলার হিসাবে বিভিন্ন লোকদের প্রতারনা করে আসছে। উক্ত সংবাদে খুলনা জেলার গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সিকদার আককাছ আলী, পিপিএম গোপন সংবাদ সংগ্রহ করে সার্বিক তত্বাবধানে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বসত বাড়ী ঘেরাও করিলে প্রতারক চক্র দিকবিদিক হয়ে দৌড়ে পলানোর চেষ্টাকালে উক্ত কথিত সীমানা পিলার সহ আসামিদের গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক এসএম আলমগীর কবির বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পাইকগাছা থানায় মামলা (নং-০৬ তারিখ-০৫/০৯/২০১৭ ইং) দায়ের করেন।
অপর এক অভিযানে গত ২৮ আগস্ট’ ১৭ইং তারিখ ২৩.৫৫ ঘটিকার সময় রূপসা থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ড রাজ ফিস এর সামনে থেকে অপর প্রতারক চক্রের দলনেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম শিকদার @ মনির (৪৮), পিতা-মোঃ রেজাউল শিকদার, সাং-মূলখানা, থানা-নড়াগাতী, জেলা-নাড়াইল, বর্তমান পূর্ব বানিয়া খামার ৯ম গলি, খুলনা সদর, খুলনাকে ২৮ আগস্ট ১৭ইং তারিখ ২৩.৫৫ ঘটিকার সময় ০১টি তামার তৈরী বোতল আকৃতি ধাতব পদার্থ (যাহা তিন ভাগে খোলা যায়, লম্বা-১৩ সেঃ মিঃ, গায়ে ঊঅঝঞ ওঘউওঅ ঈঙগচঅঘণ-১৮১৮ লেখা বোতলের ভিতরে ইলেকট্রিক ডিভাইস সংযুক্ত, মাথার অংশ চাপ দিলে কম্পন বোতল আকৃতির কথিত ম্যাগনেট উদ্ধার করা হয় যার মূল্য অনুমান ২০ কোটি টাকা বলিয়া আসামি প্রচারণা চালায় । জেলা ডিবি পুলিশের এসআই অর্জুন কুমার দাস বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রতারক চক্রদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে ডিবির ইনচার্জ জানান।