ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর গত তিন সপ্তাহেও ফুলতলার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম তরফদার (৩৮) এর সন্ধান মেলেনি। তিনি ঐ গ্রামের গোলাম আলী তরফদারের পুত্র। ফলে গভীর উদ্বিগ্ন ও অজানা আতঙ্কে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত নিখোঁজ সালাম তরফতারের স্ত্রী লিপি খাতুন (৩৫) লিখিত অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর’ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় বাড়ির সামনে থেকে অভিনব নাটকীয় কায়দায় তার স্বামী ও অপর এক যুবককে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় এলাকাবাসি উপস্থিত হলে সাদা পোশাকধারী ২ নারীসহ ৮/১০ জন নিজেদেরকে র্যাব সদস্য পরিচয়ে সালাম তরফদার ও তার সহযোগি ঢাকুরিয়া গ্রামের মৃতঃ মহম্মদ আলীর পুত্র হাফিজুর (৪০) কে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন থেকেই বৃদ্ধ শ^শুর গোলাম তরফদারসহ আমরা র্যাব-৬ এর কার্যালয়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও সালাম তরফদারের কোন সন্ধান মেলেনি বলে লিপি খাতুন অভিযোগ করেন। ফলে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ও আতংকিত। তিনি প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে নিখোঁজ সালামের সন্ধানের দাবি জানান। অপরদিকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার ১০দিনের মাথায় হাফিজুরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য বলা হয়েছে।
অপরদিকে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, সালাম তরফদার একজন সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত (নং-০১) একজন সন্ত্রাসী এবং একাধিক হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৭ মামলার আসামী। সে দুই মাস পূর্বে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পায়। বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অভিযানের কারণে গত বছর সে আদালতে আত্মসমার্পন করে। তার নিখোঁজের বিষয়টা শুনেছি। তবে পুলিশ তাকে আটক করেনি।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সালাম তরফদার নিখোঁজ বা গুমের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর এ ধরনের অভিযোগ নিয়েও কেউ আসেনি।