রানা প্লাজা ধ্বংসযজ্ঞের স্বেচ্ছাসেবক হিমালয় হিমুর ‘আত্মহত্যা’

প্রকাশঃ ২০১৯-০৪-২৫ - ১৬:২২

ঢাকা অফিস : সাভারের বিরুলিয়ায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন রানা প্লাজা ধসের স্বেচ্ছাসেবক নওশাদ হাসান হিমু ওরফে হিমালয় হিমু। সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে দূর্ঘটনার পর অক্লান্ত উদ্ধার তৎপরতার জন্য তিনি সবার পরিচিত ছিলেন। রানা প্লাজা ধসের ছয় বছরের দিন সাভারের বিরুলিয়ায় নিজ বাসায় সন্ধ্যায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার, ২৪শে এপ্রিল রাত ৯টার দিকে বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকায় আবদুল হক মোল্লার বাড়িতে একা ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন হিমু। পরে তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।

তিনি বরিশালের উজিরপুর থানার বাবর গ্রামের সরদার আবুল হোসেনের ছেলে। বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘হিমালয় হিমু’ নামে। হিমুর বন্ধুরা জানান, প্লাজা ভেঙ্গে পড়ার পর হিমু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এরপর থেকে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, হিমু কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। এছাড়া তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও থাকতেন না।

পুলিশ আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। যতটুকু জেনেছি হিমু কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। এছাড়া তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও থাকতেন না। আমরা তার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছি।’

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা আমরা ময়না-তদন্তের পর জানতে পারবো। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

এদিকে হিমুর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার আত্মহননের আগে সারা দিন বিভিন্ন সময়ে তিনি ফেইসবুকে কয়েকটি পোস্ট দেন। এর মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেয়া একটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘#ছোটকালহৈতেইআগুনআমারঅনেকপছন্দ’।

আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘#কোনমৃত্যুরজন্যকেউদায়ীনয়’। এছাড়া, ‘#আগুনসর্বগ্রাসিতাইভালোবাসি’, ‘#এমনিকরেইহয়যদিশেষহোকনা’ এমন কয়েকটি পোস্ট দেন তিনি।