দাকোপ প্রতিনিধি : বেতন ভাতা বন্দ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে দাকোপের চালনা কে.সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ জন শিক্ষক কর্মচারী। পূর্বে অভিযুক্তদ্বয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয় অভিযোগের বিষয়টি পূনঃতদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে।
জানা যায় চালনা কলেজের অধ্যক্ষ ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডল এবং একই কলেজের কম্পিটার বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক নন্দিতা রানী পাল উভয়ে পৃথক দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করছে জনৈক ব্যক্তি এমন অভিযোগ এনে শিক্ষা মন্ত্রনালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করে। যার পেক্ষিতে গঠিত তদš— কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উভয়ের বেতন ভাতাদি বন্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়। যা এখন পর্যš— চলমান আছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদ্বয়ের আবেদনের পেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়ার সহকারী সচিব নাসিমা খানম স্বাক্ষরিত এক স্বারকে অভিযোগের বিষয পুনঃ তদন্তেরজন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অপরদিকে উলেখিত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ গঠন না হওয়ার কারনে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পত্র দ্বারা ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতাদি বন্দ রাখার নির্দেশ দেন। যে কারনে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলম বলেন, আইনী জটিলতার কারনে বর্তমানে বেতন ভাতা বন্দ আছে। তবে অচিরেই বিষয়টি সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক শিক্ষক কর্মচারী বর্তমান মানবেতর জীবন যাপনের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন আমাদের ভিন্ন কোন কর্মসংস্থান না থাকায় এই বেতন দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সেটি বন্দ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিষহ দিন কাটছে। এ অবস্থায় তারা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।