দাকোপে প্রচার বিমুখ তরুনদের উদ্যোগে খাদ্য বিতরন

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-০৪ - ১৫:০০

আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ সর্বনাশা অদৃশ্য এক শত্রুর মোকাবেলা সমগ্র দেশব্যাপী সাধারন ছুটি ঘোষনায় বিপাকে পড়েছে দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। সেই অসহায় দুস্থ পরিবারের সহায়তায় এক ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দাকোপে প্রচার বিমুখ কয়েকজন তরুন। উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮৩ জনের করোনা সনাক্ত পরিক্ষায় দু’জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে।
অনলাইনে “সচেতন দাকোপবাসী” নামে একটি ফেইজবুক গ্রুপ খুলে তারা শুরু করে তহবিল গঠনের কার্যক্রম। শুরুতেই নিজেদের অর্থে শুরু করে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম। কোন সুপারিশ নয়, নিজেরাই পাড়া মহল্লা ঘুরে ঘুরে প্রকৃত অসহায় অভুক্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দিতে তালিকা প্রনয়নের কাজটিও তারা নিজেরাই করে থাকেন। দেশ বিদেশের বন্ধুদের সহায়তায় গঠিত তহবিল থেকে তারা এ পর্যন্ত দাকোপের বিভিন্ন ইউনিয়নে তারা ২৮০ টি পরিবারকে সহায়তা সামগ্রী দিয়েছেন । ক্রমান্বয়ে তারা অধীক সংখ্যাক পরিবারকে সহায়তার আওতায় আনতে তহবিল গঠনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে গ্রুপটির ফোকাল উজ্জল বর্মনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা অদ্ভুদ পরিস্থিতিতে আমাদের সকল বন্ধুদের নিয়ে বিশেষ করে অসীম ঘরামী, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, সেক্সপিয়ার রায়, জয়ন্ত রায়, দীপংকর রায়, সমিতসহ অন্য বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে অসহায় মানুষকে সহায়তা করতে এই অস্থায়ী প্লাটফর্ম গঠন করেছি। আমরা এই অদৃশ্য শত্রু করোনা মোকাবেলায় আমাদের সর্বাত্নক চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন ও সামান্য সহায়তা সামগ্রী পৌছে দিতে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে সেক্সপিয়ার রায় বলেন, আমরা করোনা সংকটে যতদুর সম্ভব মানুষের জন্য কাজ করছি। আমাদের এই মানবিক কাজে যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। তাদের এই মানবিক কাজে সহযোগীতা করতে আগ্রহীদের ০১৭১৮১৮৯২৬৩ এই নাম্বারে বিকাশ করার অনুরোধ করেছেন তারা। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন দাকোপ খুলনা শিক্ষা পরিবার, ডি কে এসপি, শিশুদের জন্য আমরা, দ্যা ভয়েস অব দাকোপ সংগঠনের স্থানীয় তরুনরা সর্বাত্নক সহযোগীতা করছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে দাকোপে এ পর্যন্ত করোনা সনাক্তের জন্য ৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারায়নগঞ্জ ফেরত দু’জন গার্মেন্টস কর্মির শরীরে করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে করোনা পরিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন উপজেলার পানখালী ইউপির পূর্ব লক্ষিখোলা গ্রামের দু’প্রতিবেশী রামিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগম। ২ মে রাতে উপজেলা প্রশাসন আক্রান্ত পরিবারসহ তাদের চারিপাশে ৫০ টি পরিবারের ২১৩ জন সদস্যকে লক ডাউনের আওতায় এনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছেন।