ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া মৌজার আর,এস জরিপ গেজেট ভ্ক্তু না হওয়ায় জমি ক্রয় বিক্রয় করতে পারছেনা ভুক্তভোগী জমির মালিকগণ। এতে উক্ত মৌজার ভুক্তভোগী ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া, চাকুরী, চিকিৎসা,বিবাহ সহ নানা কাজে অর্থের জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ জমির মালিকগণ। একদিকে যেমন ভুক্তভোগীদের যাবতীয় কাজের অর্থের উৎস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকার ও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। উল্লেখ্য ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সালে উপজেলার ছয়ঘরিয়ার মৌজার আর,এস জরিপকার্য সম্পর্ন হয়। দীর্ঘ ৩০ বছর জরিপ কার্য অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তা গেজেট আকারে প্রতিষ্ঠা লাভ করে নাই। কারণ উক্ত মৌজার আর,এস জরিপে একের জমি অন্যের নামে ভুলবশত রেকর্ড হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত মৌজার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এস এ জরিপের উপর, যেমন- নাম পত্তন, খাজনা দাখিলা,সহ ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি । কিন্তু সাব-রেজিঃ নিজস্ব আইন তৈরি করে তার মনোনিত দলিল লেখকদের দিয়ে এস, এ জরিপের উপর মোটা অংঙ্কের টাকার বিনিময়ে দু একটি দলিল করছে বলে ভুক্তোভোগী এলাকাবাসী জানায়। এস এ জরিপের উপর দু-একটি দলিল রেজিঃ হলেও তা সাব রেজিঃ মনোনিত মোহরার হতে হবে। তা না হলে আর,এস না থাকলে জমি রেজিঃ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাব রেজিঃ অফিসে ঘুষ দূরর্নীতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত রেজিষ্টারে মনোনিত কিছু মোহরার ও পেসকার কর্তৃক। একাজে সহযোগিতা করছে কিছু হলুদ সাংবাদিক ও দালালেরা। এ ব্যাপারে উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি মতিন সিদ্দীকি মিঠু কাছে জানতে চাইলে তিনি যানান ঘটনা বিষয় কিছু সত্য ও কিছু মিথ্যা। এ ব্যাপারে ভুক্তোভুগী জমির মালিকগণ ছয়ঘরিয়া মৌজার জমি ক্রয়-বিক্রয় এস,এ জরিপের উপর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃতৃপক্ষ সহ দুদুকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।