ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড় আমফানে ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক ঘুটি ও তার ছিড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুুপুর পর্যন্ত ফুলতলার সর্বত্র এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ ছিল। এতে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, গাড়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুল লতিফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাড়ির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিনের চাল সম্পূর্ণ উড়ে যায়। গাড়খোলা মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, স্কুলের ৬টি ক্লাস কক্ষের টিনের সম্পূর্ণ উড়ে যায়। এতে স্কুলের বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ও ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া আব্দুল লতিফ ও রাড়ীপাড়া স্কুলের টিনের চাল উড়ে যায়।
অপরদিকে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা ঘর বাড়ি এবং গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। কৃষি বিভাগের নিকট থেকে জানা যায়, উপজেলার বিলডাকাতিয়ার সবজি ক্ষেতে এবং মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফুলতলার বৈদ্যুতিক বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ নাছিম রেজা জানান, উপজেলার সদও, শিকিরহাট এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে এবং পোল ভেঙে যায়। সে কারণে বৈদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ ঘটে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবারও গ্রাম এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হবে না। তবে আমাদের সকল ইউনিটের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ইউএনও পারভীন সুলতানা জানান, ঘুর্ণিঝড় আমফানে ফুলতলা বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাঁচা ঘর ও গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে আগে থেকে সচেতনতার কারণে মানুষ ও গবাদি পশুর কোন ক্ষতি হয়নি।