এ নিয়ে দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যু হলো ১,২০৯ জনের। আর, করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ৯০ হাজার ৬১৯ জন ব্যক্তি।
সোমবার (১৫ই জুন), রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ সকল তথ্য জানান অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত মহাপরিচালক-প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫,০৩৮টি। এরমধ্যে ৩,০৯৯ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.৬১ শতাংশ। এছাড়া, এ পর্যন্ত এই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৪ হাজার ২৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৫৩৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০,০২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫,৮১৮ জন।
নাসিমা সুলতানা আরও জানান, মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এদের মধ্যে ২৫ জন হাসপাতালে ও ১১ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং ২ জন হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই মারা যান।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু এরপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে, কিছু জায়গায় রেড জোন চিহ্নিত করে চলছে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।