বিজ্ঞপ্তি :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের বসবাস উপযোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর আবারও একাত্তরের পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক সরকার তাদেরকে পূনর্বাসিত করে দেশের রাজনীতি ফিরিয়ে আনে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদার্য়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর মতই নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে ধর্মান্ধদেরকে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এসব ঘটনায় দেশী বিদেশী মহলের ইন্ধন রয়েছে। যারা জড়িত এবং এদের পেছনে যে অপশক্তি কাজ করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দ্রুত বিচার করতে হবে। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য দেশ, জাতি ও ধর্ম কলুষিত হতে পারে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যারা সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে জড়িত তারা কোন ধর্মের লোক না, তাদের বড় পরিচয় তারা সন্ত্রাসী। এসব ঘটনার পেছনে যেসব অপশক্তি কাজ করছে তাদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বসে নেই তারা অনবরত চক্রান্ত করে যাচ্ছে। দল মত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই আমাদের নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বর্ধিত সভা পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। বর্ধিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মো. আশরাফুল ইসলাম, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, জামিরুল হুদা জহর, মফিজুর রহমান জিবলু, খ. ম. লিয়াকত। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবীর, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, শেখ সৈয়দ আলী, কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. মোতালেব মিয়া, অধ্যা. ইঞ্জিঃ আব্দুল জব্বার, এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এ্যাড. ইব্রাহীম খলিল ইমন, কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম বিকু, কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, কাউন্সিলর এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর পারভীন আক্তারসহ নগরীর সকল ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
বর্ধিত সভায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সন্ত্রাস ও উগ্রমৌলবাদ, সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়িতে হামলা, মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নির্ধারিত সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে রুপসা ট্রাফিক মোড়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিছিল সাথে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানানো হয়।
অনুরুপভাবে খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্প্রীতি মিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।