বিজ্ঞপ্তি :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ ভাল থাকে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে। দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহন করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিশে^র দরবারে এক অনন্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের এ উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া কৃষক লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন। দেশের কৃষকদের উন্নয়নে তিনি এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষকদের জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। দেশে বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে দেশে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক ফসল উৎপাদন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমান সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছেন । এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের জন্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ এলাকায় সংগঠনটি শক্তিশালী হলে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতও শক্তিশালী হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। সেই সাথে দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় শিরোমণি ৩৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্ত্বরে খানজাহান আলী থানার অর্ন্তগত ২, ৩৩,৩৪,৩৫ ও ৩৬নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্ভোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলী। খুলনা মহানগর কৃষকলীগ আহবায়ক এ্যাড. এ. কে. এম শাহাজাহান কচির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এ বি এম আদেল মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম রেজওয়ান আলী, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, নির্বাহী সদস্য এস এম আকিল উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিসেস হালিমা রহমান। বিশেষ বক্তা ছিলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হাসান পানু ও কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক নুুরুল ইসলাম বাদশা। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোড়ল আনিসুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খান হাফিজুর রহমান, ৩৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সরদার আঃ হামিদ, ৩৪ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপন, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, ৩৪ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক খ.ম লিয়াকত আলী, ৩৫ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক শেখ আঃ হক, ৩৬ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কিসমত আলী, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আইউব আলী খান, মো. শহীদুল হাসান, কানাই রায়, জেলা কৃষক লীগের সদস্য আনিসুর রহমান মাসুম, দিঘলিয়া কৃষক লীগের সদস্য সচিব খান আবু সাইদ, ওয়ার্ড কৃষক লীগ নেতা আবু হাসান, হাবিবুর রহমান নাজিম, শেখ হাসান। মহানগর কৃষক লীগের সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান, রেজওয়ান আকুঞ্জি রাজা, মোঃ আবু নাইমের সার্বিক সহযোগিতায় ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কেসিসি ২ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, সাধারন সম্পাদক মোঃ সাকিব হাসান, ৩৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ বাবুল ফারাজী, ৩৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আঃ মান্নান, সাধারন সম্পাদক মোঃ আকবার আলী, ৩৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম টুকু, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইদ্রিছ আলী, ৩৬ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মফিজুল হক এর নাম ঘোষনা করে ৫ টি ওয়ার্ডের ৬১ সদস্য বিষিষ্ট কমিটি গঠন করে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয় ।