ইউনিক প্রতিবেদক :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে জাতিকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে, একটা চিরন্তন ভাষণ হিসাবে বিশ্বের বুকে উদ্ভাসিত থাকবে। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ভাষণ বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে একদিকে আমরা পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি হওয়ার পর দীর্ঘ ২৩টি বছর যে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়েছিল, বাঙালি জাতি যে অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করেছিল, নিজের অধিকারে কথা বলতে গিয়ে গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছিল, সেই কথাগুলি বঙ্গবন্ধু ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে ঠিক ওই মুহূর্তে কী কী করণীয়, সেই নির্দেশনাও জাতিকে তিনি দিয়েছিলেন।
১৫ আগস্টের পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ২১ বছর এই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে। আর ২১ বছর ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লাখো শহিদের রক্ত দান, আমাদের সংগ্রাম সবকিছু ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে সত্যকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। আর ৭ মার্চের ভাষণেই তো জাতির পিতা বলে গেছেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। তাই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে ধারণ করে দলকে সুসংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। সেই সাথে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষে সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম খান, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রাজেস। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম। সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, এ্যাড. এনামুল হক, আব্দুল হাই পলাশ, বাদল সরদার বাবুল, মঈনুল ইসলাম খান নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, এ্যাড. ফারুক হোসেন, এ্যাড. মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম তালুকদার, শেখ এশারুল হক, আজম খান, ফায়জুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সিহাব উদ্দিন, আব্দুল মালেক, শেখ আওয়াল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, রিয়াজ হোসেন, ফেরদৌস আলম রীতা, রেখা খানম, মো. আলমগীর মল্লিক, রিক্তা আক্তার, মো. শহীদুল হাসান, ছাত্র নেতা জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, এম এ হাসান সবুজ, ওমর কামাল, রাহুল শাহরিয়ার সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।