বিজ্ঞপ্তি : খুলনায় পুলিশের বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক নুরুল হক, ১৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রুবেল খন্দকার, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আরমান, যোগীপোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আবু, আড়ংঘাটা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন মিশ্র, মহানগর ছাত্রদলের রশিউর রহমান রুবেল, খানজাহান আলী থানা যুবদলের মেহেদি হাসান বাপ্পী, ২২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: জহির শেখ, ২নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা শাহাদাৎ হোসেন সাজু, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কুদ্দুস শেখ, সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিব হাসান।
প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে সংযমের কথা উল্লেখ থাকলেও সরকার সেকথা বেমালুম ভুলে গিয়ে জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। মামলা ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দেশকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। হরহামেশা ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে জুলুম-নিপীড়ন চালাচ্ছে। কোন কর্মসূচি আসলেই খুলনার অতিউৎসাহি পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় ১ এপ্রিল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ইতমধ্যে ১১জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার বিএনপি মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের সংবিধানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে নিজ কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার দেয়া আছে। কিন্তু সরকার বাকশালী পন্থায় বিএনপির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে পবিত্র রমজান মাসেও জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। একইসাথে জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।