খুলনা : খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত ও ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে তাদের ওপরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। শনিবার বিকেলে নগরীর কেডি ঘোষ রোডে কার্যালয়ের সামনে ১০ দফা দাবিতে দলীয় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বিকেল ৪টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেছে বিএনপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচির মত শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এটা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের অন্তরায়। আমরা এই হামলার তিব্র নিন্দা জানায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, গত দুই দিন ধরে আমাদের ২৩জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ হামলা চালিয়ে ১২জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে পুলিশ। সারাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। খুলনায় পুলিশের অতি বাড়াবাড়িতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি অতিউৎসাহী পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারণে খুলনার রাজনৈতিক সহাবস্থান নষ্টকারীদেও বিরুদ্ধে তদন্ত দাব করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ২টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। খুলনা থানার সামনে দিয়ে একটি খন্ড মিছিল এই কর্মসূচিতে আসার সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশের হামলায় বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঈদের পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপির একটি প্রোগ্রাম ছিল। আমরা এখানে অবস্থান করছিলাম যাতে শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপির দু’টি দল দুই দিক থেকে এসে আমাদের ওপর ইটপাটকেল মারা শুরু করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়তে বাধ্য হই। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।