খুলনা : খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল সোয়া ৪ টায় প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির বিনা অনুমোতিতে রাস্তায় সমাবেশের আযোজন করে। পুলিশ তাদের জনগণের চলাচলে বিঘিœত না হয় সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্নভাবে সমাবেস করতে বলায় কিছু উসৃঙ্খল কর্মী পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে বিশৃঙাখলা ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাসও ছোড়া পুলিশ। পাল্টা জবাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৩ জন। এছাড়া ৫/৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি দিঘলিয়া সেনাটি ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম-আহবায়কা জাহিদুর রহমান রিপন, পাইকগাছা উপজেলার যুবদল নেতা মোঃ তাজমুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি মিছিলে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশ পন্ড করতে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করেছেন। অসংখ্য নেতাকমী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে। অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।