সমঝোতা বৈঠক শেষে সশস্ত্র হামলা
ইউনিক ডেস্ক : নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট সেনপাড়ায় মো. অন্তর শেখ (২২) নামে এক যুবককে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আটক করে। এই ঘটনায় অন্তর শেখের স্বজনরা স্থানীয় হানিফ ও হাফিজ ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগে তাদের বাসায় এবং অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল তার অফিসে উভয় পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করেন। বৈঠক শেষে কাউন্সিলরের অফিস থেকে বের হওয়া মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মহানগর সড়ক ও পরিবহন লীগে যুগ্ম সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সহ-সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান (৪২), খানজাহান আলী থানা মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হানিফ (৩৪), সেনপাড়া এলাকার আশা (২০), মনির হোসেন বাবু (২৫), রাসেল (২৫) সুমি(২৫), শাওন (২৫) সহ ৭/৮ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাে ল ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাসেল, আশা এবং মনির হোসেন বাবু গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।
হামলায় আহত মহানগর সড়ক ও পরিবহন লীগে যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় খানজাহান আলী থানা পুলিশ আমার বাড়ির সামনে থেকে মাদকসহ এক কারবারিকে আটক করে। আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারীরা প্রচার করে আমার ভাই হানিফ তাকে ধরিয়ে দিয়েছে। তারা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আমি খানজাহান আলী এবং দৌলতপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। কিছুক্ষন পরে তারা আরো সংঘবন্ধ হয়ে ফুলবাড়ীগেট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আমার ব্যবাসায়িক অফিসে ঘন্টাব্যাপী ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। ঘটনাস্থলে থানার ওসি এসে পরিস্থিতি শান্ত করে মিমাংসা করে দেন। পরবর্তিতে স্থানীয় কাউন্সিলর এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল তার অফিসে উভয় পক্ষকে নিয়ে গত রোববার সন্ধ্যার পর সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে পারভীন কাউন্সিলরের সামনে আমাকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে মিমাংসার পরে আমরা কাউন্সিলরের অফিস থেকে নিচে নামামাত্র পূর্বপরিল্পনা অনুযায়ী আমাদের ওপর মাদক কারবারী এবং কিশোর গ্যাংয়ের ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র চাকু ও জিআই পাইপ নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ আরো ৭/৮ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমার পেটে চাকু দিয়ে পোচ দিয়েছে। মনির হোসেন বাবুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে, তার অবস্থা আশংকাজনক, আশার সারা শরীর রক্তাক্ত যখম করেছে। এছাড়া খানজাহান আলী থানা মটর শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. হানিফ(৩৪), সেনপাড়া এলাকার সুমি (২৫), শাওন (২৫) সহ ৭/৮জন আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্র্তি হয়েছে।
এ ঘটনায় খানজাহান আলী খানার এসআই ইসতিয়াক আহমেদ জানান, হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেই। স্থানীয় পারভীন বেগমকে গালিগালাজ করার অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশকে অবহিত না করে কাউন্সিলরের অফিসে সমঝোতা বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ চলে যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদেরকে হাসপাতালে প্রেরণ করি।