খুলনায় কৃষক লীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার ১

প্রকাশঃ ২০২৩-০৮-২৬ - ১৫:০৬

ইউনিক ডেস্ক : খুলনা নগরীর ৩১নং ওয়ার্ড কৃষক লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা করেছে ভূক্তভোগীর স্ত্রী নিলা আক্তার। গত ২২ আগস্ট তিনি মো. হাসান হেলাল ও মো. দুলালসহ অজ্ঞাত ৫/৬ আসামীর উল্লেখ করে নগরীর লবনচরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত মামলার ১নং আসামী মো. হাসান হেলালকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করেছে লবনচরা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট রাত পৌনে ৮টার সময় ৩১নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেসার্স মাহবুব ব্রাদার্সের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলাম লবনচরা এলাকার মতিয়াখালী জামে মসজিদের সামনে আলমের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। সে সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এজাহারভূক্ত আসামী মো. হাসান হেলাল ও মো. দুলালসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন সন্ত্রাসী নজরুল ইসলামকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথায়, হাতে, বুকে এলোপাথাড়ী কোপ দিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। এসময়ে আসামীরা তাকে জীবনের তরে মেরে ফেলবো বলতে থাকে। তখন ভূক্তভোগী চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তাকে দেখে নেবে, প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে দ্রæত ঘটনাস্থাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আশে পাশের স্থাণীয় লোকজন গুরুতর আহত নজরুল ইসলামকে দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগীর স্ত্রী ও মামলার বাদী নীলা আক্তার জানান, আমার স্বামীকে তারা নির্মমভাবে কুপিয়েছে। লোকজন এগিয়ে না আসলে তারা তাকে মেরেই ফেলতো। আমি এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। আমি এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই, কঠোর বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম জানান, ঘটনার দিনই এজাহারভ্ক্তু ১নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে এখন জেল হাজতে রয়েছে। তবে এ আসামীর জন্য আদালতে কোন রিমান্ড চাওয়া হয়নি এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
লবনচরা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, কৃষক লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে গত ২২ আগস্ট তনি মো. হাসান হেলাল ও মো. দুলালসহ অজ্ঞাত ৫/৬ আসামীর উল্লেখ করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে আমরা মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামীকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।