ইউনিক ডেস্ক : খুলনার বটিয়াঘাটায় পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রীকে পিটিয়ে ছিনতাই নাটক ঘটনায় স্বামী কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা তুহিন মন্ডল ওরপে বিশ্বাস পুলিশের খাঁচায় বন্দী। গতকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির শিকার ভিকটিম স্কুল শিক্ষিকা মৌসুমী রাণী খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
উপজেলার চক্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মৌসুমির সাথে তার স্বামী কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা তুহিন মন্ডল ওরপে বিশ^াসের সাথে বেশ কিছু দিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। মৌসুমি একটি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হন। সে কারণে একটি রিজার্ভ ভ্যানে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতেন। গত ২৪ আগষ্ট বিকেল চারটার দিকে স্কুল থেকে ফিরে গৌড়িয় গৌর নিতাই সর্বজনীন সেবাশ্রম সংলগ্ন দারোগা বাড়ির সামনে নামেন। এ সময় এক যুবক দ্রুত ভ্যান চালিয়ে এসে হাতুড়ি দিয়ে মৌসুমির মাথায় আঘাত করে। তার মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়ে পালবার চেস্টা চালায়। মৌসুমির চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এস তাকে ধরে পুলিশে দেয়। ঘটনার পরের দিন মৌসুমির ভাই শিপলু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন যার নম্বর ১৬ তারিখ ২৫/৮/২৩। শিপন মোল্যা (১৯) নামে আটক ভ্যান চালকের বাড়ি পশ্চিম টুটপাড়া এলাকায়। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে মৌসুমির স্বামী তুহিনের নাম স্বীকার করে। তুহিনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সেও ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এর সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তার স্বাকারোক্তিতে প্রকাশ করে।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি মো: শওকত কবির বলেন, ঘটনার মূলরহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন তুহিনকে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে এলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যাবে।