বটিয়াঘাটার জুনাইদ ফুড এ্যান্ড প্রোডাক্টস্’র কেকের ভিতর টিকটিকি

প্রকাশঃ ২০২৩-০৯-০৬ - ১২:৫০

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া কলেজ মোড়স্থ তাপস মন্ডলের দোকানে একটি বেকারীর কেকের ভিতরে পাওয়া গেছে টিকটিকি। বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার আনার আলী গাজী জানান, তিনি প্রতিদিন বটিয়াঘাটার জুনাইদ ফুড এ্যান্ড প্রোডাক্টস্’র সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। যথারীতি গত বুধবার বিকেলে তার দোকান থেকে শুমান্ত নামে এক ক্রেতা কেক কিনে খেতে গিয়ে দেখতে পান কেকের ভিতরে আস্ত টিকটিকি। মুহূর্তে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা বেকারীর শ্যাম্পল ও কেকের ভিতরে থাকা টিকটিকির ছবিসহ ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

ভুক্তভোগী শুমান্ত মন্ডল বলেন, আমি বারোআড়িয়া কলেজ মোড়ে অবস্থিত তাপস মন্ডলের চায়ের দোকান থেকে একটি কেক কিনে খাওয়ার সময় দেখি কেকের ভিতরে একটি টিকটিকি। তখন আমি উপস্থিত সকলকে কেকটি দেখাই। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুর খাঁ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম। দোকানদারের নিকট থেকে কেকটি শুমান্ত কিনে খাওয়ার সময় দেখতে পাই ভিতরে টিকটিকি। তখন আমি কেকের ভিতর থাকা স্যাম্পল দেখে কোম্পানির মালিক শওকতের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলি। তার কোম্পানির কেকের ভিতরে টিকটিকি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই বিষয়টি নিয়ে আমি আপনার সাথে এসে কথা বলবো। দোকানদার তাপস মন্ডল বলেন, প্রতিদিন আমিসহ এলাকার দোকানদাররা এলাকার আনার আলী গাজীর নিকট থেকে মালামাল কিনি। ঘটনার দিনও কেক ও রুটি নিয়েছিলাম। পরে দেখি কেকের ভিতরে টিকটিকি। জুনাইদ ফুড এ্যান্ড প্রোডাক্টস্ নামক প্রতিষ্ঠানটির মালিক শওকত শেখ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের মান সম্মান ক্ষুণœ করার জন্য অন্য কোম্পানির লোকজন উঠে পড়ে লেগেছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নিবন্ধন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএসটিআই-এর অনুমোদন রয়েছে। লাইসেন্স নাম্বার মনে নেই। আমি অফিসের বাইরে রয়েছি। পরে নাম্বারটা জানাবো। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, টিকটিক খাবারের সঙ্গে মানুষের পেটে গেলে ডায়রিয়া, বমি এমনকি কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। যে কারণে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়নের কল্যাণশ্রী এলাকার শওকত শেখ তিনি “জুনাইদ ফুড এ্যান্ড প্রোডাক্টস্” নামে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ উঠেছে সরকারি লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানটিতে বানানো হয় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, ক্রিম রোলসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী। কারখানায় স্বাস্থ্যসম্মত কোন খাবারই তৈরি করা হয় না। ভেজাল ও অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় অদক্ষ্য কারিগর দ্বারা খাবারগুলো তৈরি করা হয়। যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। শুধু তাই নয় খাবারের সাথে কোন মোড়ক থাকে না। কারখানার ভিতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। টিকটিকি, মশা মাছি আরসোলাসহ বিভিন্ন পোকা মাকড় লেগেই থাকে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের মালিক শওকত নিজেকে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই নির্বিঘেœ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তার ব্যবসা।