ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলা বাজারের সাথী আবাসিক হোটেল থেকে বোর্ডার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন এর ১ লাখ ৬৩ হাজার চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েও লাঞ্চিতের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে থানা পুলিশ বাদিকে লাঞ্চিত করার ঘটনা অস্বীকার করেছে।
মুুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা উত্তর থানার কুমারভোগ এলাকার মৃতঃ চুনুœ মাতবরের পুত্র ব্যবসায়ী পুত্র রুহুল আমিন মাতবর (৪০) বলেন, খুলনার বিভিন্ন মার্কেটে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শেরওয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস এর কাপড় পাইকারি সরবরাহ করেন। ঈদের বাজারকে সামনে রেখে গত শুক্রবার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ফুলতলা বাজারের সাথী হোটেলে ১৬ নং কক্ষে উঠেন। আদায়কৃত ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বিছানার নিচে রেখে শনিবার সকাল ৯টায় রুমের দরজা তালা বন্ধ করে ওয়াসরুমে যান। পরে তালা খুলে রুমে গিয়ে বিছানার নিচে রক্ষিত আর টাকা নেই।
সাধারনতঃ আবাসিক হোটেলে তালার একাধিক চাবি থাকায় তিনি হোটেলের ম্যানেজার আমজাদ হোসেন টাকা চুরির অভিযোগ করেন। কোন সদুত্তর না পাওয়ায় ফুলতলা বাজারের তার কাষ্টমার ও বণিক কল্যাণ সোসাইটির কর্মকর্তাদের বিষযটি অবহিত রেন। তাদের পরামর্শক্রমে রাত ১০ টায় তিনি থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষকে থানায় ডেকে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় দুই ব্যক্তি থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বাইরে ডেকে এনে কথা বলে। কিছুক্ষণ পর ডিউটি অফিসার ফিরে গিয়ে টাকা চুরির ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে উল্টে রুহুল আমিনকে দফায় দফায় লাঞ্চিত করা হয়েছে তার অভিযোগ। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে ফুলতলা বাজারের দুই ব্যবসায়ী তরিকুল ও তার পিতা মুচলিকা দিয়ে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। একদিকে টাকা খোয়া যাওয়া অপরদিকে পুলিশের লাঞ্চিত ঘটনায় হতবিহবল হয়ে হোটেলের রুম ছেড়ে রুহুল আমিন খুলনার অন্য মার্কেটে গিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন।
ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা বলেন, বাজারের কাপড় ব্যবাসায়ীদের সাথে কথা বলে হোটেল থেকে ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের টাকা চুরি ও থানায় লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কতিপয় হলুদ সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যের যোগসাজসে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে অভিযোগ নিয়ে থানায় যাওয়ার পর ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনার রাতে থানার ডিউটি অফিসার এস আই চিন্ময় বলেন, টাকা চুরির বিষয়ে রুহুল আমিন থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, রুহুল আমিনের টাকা চুরির ঘটনাটি তদন্ত করছি। দ্রæত সময়ের মধ্যে দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।