প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া একটি মারাত্মক সমস্যা।প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।তবে আশার কথা ঝরে পড়ার হার অতীতের তুলনায় বর্তমানে অনেক কমে গেছে। ঢাকা পোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ঝরে পড়ার হার ৪৭.২০ থেকে কমে ১৪.১৫ শতাংশে নেমে গেছে। ঝরে পড়া রোধে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বিদ্যালয়ে সম্পৃক্ত করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে যেমন শিশুজরীপ,হোমভিজিট, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পালন করলে ঝরে পড়া কমানো সম্ভব। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ সমাজের সকল স্তরের জনসাধারণকে নিয়ে অভিভাবকদের উৎসাহিত করে শিক্ষার্থীর নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি,স্কুলড্রেস,যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ, উপস্থিতি পুরস্কার, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ,মিডডে মিল,বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের যত্ন নেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ঝরে পড়া রোধ অনেকখানি কমানো সম্ভব। এই বিষয়ে শিক্ষকদের আরো সচেতন হতে হবে।শিক্ষকদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে পাঠদানকে আনন্দমুখর করে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাভীতিকে দূর করতে পারে একমাত্র একজন দক্ষ ও আন্তরিক শিক্ষক। এছাড়া শিক্ষকবৃন্দ যদি সর্বস্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সচেতন করতে পারে তবেই এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ সম্ভব। সর্বোপরি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সম্পৃক্ততায় দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিকমানের করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার এবং আন্তরিক প্রচেষ্টাই পারে শিক্ষার্থী ঝরে পরা রোধ করতে।
লেখকঃ এইচ এম সিহাব উদ্দীন ওমর সহকারী শিক্ষক উত্তরডিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুলতলা, খুলনা।