কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় মিলন দাশকে বহিষ্কার

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-১৮ - ১৪:২৭

কপিলমুনি : কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আমিনুল ইসলাম বজলুর বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগসহ ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন কপিলমুনি প্রেসক্লাবকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বুধবার রাত ৮টায় কপিলমুনি প্রেসক্লাবের এক জরুরী সাধারণ সভা ক্লাবের নিজস্ব মিলনাযতনে অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এইচ,এম শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এস, এম, লোকমান হেকিম, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক এইচ,এম, এ হাশেম, শেখ দীন মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, মো: আব্দুস সবুর আল-আমীন, প্রবীর বিশ্বাস জয়, তপন পাল, মো: তহিদুজ্জামান মুকুল, শেখ নাদীর শাহ্, অলি উল্যাহ গাজী, মনিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ ক্লাবের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ।
এসময় সাংবাদিক নের্তৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্রিকান্তে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বজলুসহ ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নজণিত নানা বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় তারা আরো বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর সংগঠনের সাবেক সভাপতি জি,এম হেদায়েত আলী টুকুসহ কার্যকরী পরিষদের অন্তত ৫ জন সদস্য পদত্যাগ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর গঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে নিজেদের অবস্থানসহ মন:পূত না হওয়ায় এর একমাস পর স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে কথিত সভার মাধ্যমে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি বিদ্রোহী আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয়। প্রেসক্লাবের বাইরে বসে বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করার বিষয়টি ঐসময় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্লাবের সুনাম ক্ষুন্ন, কমিটিকে অস্বীকারসহ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পাল্টা কথিত কমিটির আহ্বায়ক এস,এম আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব জি,এম মোস্তাক আহম্মেদসহ ৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপরও তারা থেমে থাকেনি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তারা প্রেসক্লাব চত্বরকে সভার ভেন্যু দেখিয়ে আরো একটি কথিত সভা দেখিয়ে সেখানে ক্লাবের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বজলু ও যুবদলকে কলুষিত করে সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমসহ বেশ কিছু মিডিয়ায় অপপ্রচার প্রকাশ করে। এতে আমিনুল ইসলাম বজলু, প্রেসক্লাব ও জাতীয়তবাদী যুবদলের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়। এছাড়া ঐ খবরে তারা আরো দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম বজলুর নেতৃত্বে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের নিয়ে জোরপূর্বক হেদায়েত আলী টুকু, মিলন দাশ ও মুন্সী রেজাউল করিম মহব্বতকে ভীতির মুখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর আদায় করা হয়।
এমন দাবির ব্যাখ্যায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উল্টো প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করলে তারা পূর্বের কমিটিকে অস্বীকার করে প্রায় একমাস পর পাল্টা বিদ্রোহী আরো একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করলেন কেন? তারা তো পূর্বের কমিটির ব্যানারে সভা আহ্বান করতে পারতেন। মূলত আহ্বায়ক কমিটিতে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পদ বঞ্চিত হয়ে কতিপয় বিপদগামীদের সাথে নিয়ে প্রেসক্লাবকে প্রশ্নবিদ্ধ তরতে তারা রীতিমত বিভিন্ন উষ্কানিমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। তাদেরকে সঠিক সত্যের পথে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংগঠন সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার, নানা দূর্নীতি-অনিয়মের সাথে জড়িত সর্বোপরি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মিলন কুমার দাশকে তার সদস্য পদ থেকে অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়। এরপর সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে প্রেসক্লাব থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া আহ্বায়ক কমিটি থেকে বিপথগামী দুইজন সদস্যকে বাদ দিয়ে তহিদুজ্জামান মুকুল ও শেখ নাদীর শাহ্কে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
এছাড়া ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রগতিশীল চেতনার জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের বহিরাগত উল্লেখ করে ক্লাব অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ করায় তাদেরকে ধিক্কার জানানো হয়।