বরিশাল : বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ মহানগরী, জেলা, উপজেলায় ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অফিস, আদালতে চত্বরে তদবিরে ব্যবস্থ রয়েছে একশ্রেনীর উঠতি বয়সী তরুন যুবকরা। দফতরের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কাজের চেয়েও পরিচয়দানকারী সমন্বয়কদের ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ছেন।
জানাযায়, বরিশাসিটি করপোরের্শনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মীচারীরা সম্প্রতি বিসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর নিকট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়রানির অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন, একশ্রেনীর উঠতি বয়সী যুবকরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শাখা গিয়ে স্টাফদের সাথে খারাপ আচারন এবং অনৈতিক কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের কথা মতো কাজ না করলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। অথচ বিসিসির বর্তমান কর্মস্থলে উপস্থিত অধিকাংশ স্টাফই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত। তাই অবিলম্বে চলমান সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে বিসিসি স্টাফরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানিয়েছেন। বিসিসির হাট-বাজার শাখার সুপারিনটেনডেন্টকে রুপাতলী ও সাগদী বাজারের খাজনা উত্তোলন করার জন্য এক সমন্বয়ক তার আত্মীয়র জন্য দায়িত্ব চেয়েছেন। সুপারিনটেনডেন্ট এ অনৈতিক কাজের অস্বীকৃতি জানালে, তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করেন। অবৈধ উচ্ছেদ শাখার প্রধানকে এক বালু ব্যবসায়ী তার ড্রেজার দ্বারা জলাশয়, পুকুর, ডোবা বালু দিয়ে ভরাটের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এভাবে প্রতিনিয়তো ছাত্র-জনতার সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক দাবী নিয়ে হাজির হচ্ছে। ওই সমন্বয়করা অফিসের বিভিন্ন খাতা-পত্র, হাজিরা খাতা প্রতিদিন চেক করেন। ইতোমধ্যে সমন্বয়কদের তান্ডবের কারনে অনেক অফিসের স্টাফরা স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলী হওয়ার খবর রয়েছে।