বরিশাল বিসিক নগরীর কাশবনে প্রেম প্রেয়সীর আনাগোনা: রাতে মাদকের হাট

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-২৩ - ১৬:০১

বরিশাল : বরিশালে বিসিক নগরীর কাশবনে স্কুল, কলেজ ফাকিঁ দিয়ে একশ্রেনীর প্রেম প্রেয়সী যুগলদের আনোগোনায় চলছে। অপরদিকে রাতের অন্ধকারে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের হাট বসে। স্থানীয় লোকজন মাদকসেবীদের ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে।
জানাযায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বরিশালে ৩৫ একর জমিতে বালু ভরাট করে গড়ে তোলে বিসিক শিল্প নগরী। এ জমিতে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য বিসিক কর্তৃপক্ষ প্লট করে বরাদ্ধ দেন। এখনো সেই প্লট সমুহে কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় জম্ম নিয়েছে কাশফুল। এই কাশফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে শতশত প্রেম প্রিয়সী কিশোর-কিশোরীরা। এমনকি বিসিকের পেছনের কাশফুল গুলো বড় হওয়ায় তরুন-তরুনীরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় তৎপেতে থাকা একশ্রেনীর যুবকরা ওই সব যুগলদের আটকিয়ে টাকা-পয়সা হাতে নিচ্ছেন। আবার মোবাইলে ধারনকৃত ছবি, ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করা হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কাশবনের চিত্র ভিন্ন হয়ে যায়। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক সেবীদের আড্ডা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহিদুল হাসান জানান, এই কাশবনের কারনে বিসিক শিল্প নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা চোর-ডাকাত ও বহিরাগতদের আতংকে দিন কাটচ্ছে। এখানে যততত্র লোকজনের আনাগোনা চলে, কোন বাধাঁ নিষেধ নেই। তাই দিনে চলে তরুন-তরুনীদের অনৈতকি কার্যক্রম, আর রাতে মাদকের একটা অভয়ারণ্য তৈরী হয়েছে। বিসিকে ঘুরতে আসা জনৈক সোহাগ জানান, পারিবার নিয়ে কাশবনে ঘুরতে এসে বিব্রতকর হয়ে পড়েছি। স্কুল, কলেজ ফাকিঁ দিয়ে একশ্রেনীর তরুন-তরুনীর অশ্লীল কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো।
বিসিক মালিক শিল্প সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন আলম জানান, কাশবনের ঘাস অপসারণ করা জরুরী। নয়তো যে কোন সময় একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য বিসিক জেলা কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বার্স দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম জানান, এখানে বিশাল অংশ জুড়ে কাশবন জম্ম নিয়েছে। এ জন্য অনেক লোকজন ঘুরতে আসে। আবার কিছু বখাটে যুবকরা নানা ধরনের অপকর্ম করে বলেও অভিযোগ পেয়েছি। তাই বিসিক শিল্প মালিকদের নিজ উদ্যোগে ঘাস গুলো অপসারণের জন্য অনুরোধ করেছি। কারন এ বিষয় আমাদের হাতে কোন বরাদ্ধ নেই।